মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সারা দেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র তান্ডবে সড়ক ধস, পাহাড় আছড়ে ও তলিয়ে গিয়ে মৌলভীবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ২৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার সওজ বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেলেও তার স্মৃতি এখনো রয়েই গেছে। জেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে এখনো পানি নেমে সড়কের বিভিন্ন জায়গা তলিয়ে গেছে। আর এই তলিয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করায় আরো দেভে যাচ্ছে সড়ক।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, সড়ক বিভাগের অধীনে থাকা রাজনগর-কুলাউড়া,-জুড়ি- বড়লেখা-বিয়ানীবাজার সড়কের চেইনেজ ৪২ কিঃমিঃ হতে ৪৬ কিঃমিঃ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়ক, মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলা চেকপোষ্ট সড়কের চেইনেজ ৬.৯শ কিঃমিঃ হতে ৭ কিঃমিঃ পর্যন্ত ১শ মিটার, বড়লেখা-শাহবাজপুর-লাতু সড়কের চেইনেজ শুণ্য কিঃমিঃ হতে ৭৫০ মিটার পর্যন্ত ৭৫০ মিটার , জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী সড়কের চেইনেজ ৫.৫০০ কিমিঃ হতে ৫.৬০০ কিমিঃ, ১০ কিমিঃ হতে ১০.১০০ কিমিঃ, ১১.৯০০ কিমিঃ হতে ১২.৬০০ কিমিঃ,১৫.৮০০ কিমিঃ হতে ১৬.৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মোট ১.৮শ কিলোমিটার ও কুলাউড়া (গাজীপুর)- জুড়ী (সাগরনাল) উপজেলা সংযোগ সড়কের আরো চেইনেজ ৭.৮০০ কিমিঃ হতে ৮ কিমিঃ পর্যন্ত আরো ৫শ মিটার সড়ক জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে মোট ৭. ১৫০ কিলোমিটার জায়গার মারাত্বক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়ক বিভাগ জানায়, এসব জায়গাগুলো দীর্ঘ মেয়াদী মেরামত করতে তাদের ব্যয় হবে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। আর স্বল্প মেয়াদী মেরামত করতে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার হামিদ বিটিসি নিউজকে বলেন, জেলার ৫টি জায়গায় আমাদের সড়কের মারাত্বক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, আপাতত এই জায়গা গুলো মেরামত করতে ব্যয় হতে পারে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। এ প্রশ্নের জবাবে ওই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঘূর্ণি ঝড় রেমাল চলে গেলেও পাহাড় থেকে এখনো পানি নামছে। এসব পানি নামা বন্ধ হয়ে গেলে জরিপ করে পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির হিসেব আরো পাওয়া যাবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.