ফেনী প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানি চাপে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের শালধর গ্রামে শনিবার (১৮ নভেস্বর) সকালে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টির ও তীব্র বাতাসের কারণে বেশিরভাগ আমন ধান নুইয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে শনিবার সকাল থেকে মুহুরি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সকাল ১১ টার দিকে হঠাৎ দক্ষিণ শালধর গ্রামের জহির চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উত্তর শালধর ও দক্ষিণ শালধরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে আমনের পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন মুহুরী নদীর দক্ষিণ শালধর এলাকায় বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন দ্রুত পানি সড়ে না গেলে বেশিরভাগ আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন না। এলাকার ক্ষেতে কিছু ধান কেটে শুকাতে দেয় বাকিরা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অসময়ের বন্যায় কৃষকেরা সর্বশান্ত হয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।
অপরদিকে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এ সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তাসহ কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিযেছেন দেন।
পরশুরাম উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু কুমার দাস বিটিসি নিউজকে জানান বন্যার পানি দ্রুত সরে গেলে পাকা ধানের তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। প্রাথমিকভাবে তারা বিশ হেক্টর আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জেলা কৃষি অফিসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান চলতি বছর উপজেলার ৫ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষকদের তেমন ক্ষতির সম্ভবনা নাই বলে তিন দাবি করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.