ঘাটালের দূর্গত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী

(ঘাটালের দূর্গত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী–ছবি: প্রতিনিধির)
বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: প্রায় ১১ দিন ধরে জলবন্দি হয়ে রয়েছে ঘাটাল ৷ এ দিন ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে ঘাটালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী৷ হেলিকপ্টারে ঘাটাল পৌঁছনোর পথে আকাশপথেই বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জল জমে থাকা রাস্তাতে নেমে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়েও দেখেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
ঘাটালে গিয়েও এ দিন পরিকল্পিত বন্যার অভিযোগে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুইঞা, ঘাটালের সাংসদ দে, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়াদের দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করারও দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, নিম্ন দামোদর অববাহিকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার ৷ চেক ড্যাম তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অনুমোদন না দেওয়াতেই ঘাটালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী  ৷
তিনি বলেন, ‘ঘাটালের অবস্থা ভয়াবহ৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না ৷ আমরা যতটা করার করেছি৷ কিন্তু একই বছরে কোভিড, আমফান, ইয়াসের মতো দুর্যোগের সঙ্গে বন্যাও চলে এসেছে ৷ প্রশাসনিক স্তরে যা করার করা হবে৷ মানুষ বিপদে পড়লে কোনও ভেদাভেদ করা হবে না ৷’
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার জন্য ফের কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াবে রাজ্য সরকার৷ ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে রাজ্যের প্রতিনিধি দল ৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর না হওয়ার জন্য এ দিনও কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.