ঘরে নতুন ধান আসুক আর নাই আসুক আজ নবান্ন

 

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: স্বাধীনতার পূর্বকালে দেশীয় জাতের ধান চাষের সময় বাংলা অগ্রহায়ন মাসের পহেলা তারিখে আদমদীঘির গ্রামগঞ্জে নতুন ধানের আগমনে মহা ধুমধামে নবান্ন উৎসব পালিত হতো। এখন আগের মতো দেশীয় জাতের ধানচাষ নেই। উচ্চ ফলনশীল ধানচাষ হওয়ায় অগ্রহায়ন মাসের আগে তেমন নতুন ধান ঘরে আসেনা। কিন্ত নবান্ন উৎসব চিরচরিত প্রথায় আজও বিদ্যমান। ঘরে নতুন ধান আসুক আর নাই আসুক আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলা মাসের পহেলা অগ্রহায়ন নবান্ন উৎসবে মেতেছে আদমদীঘি উপজেলাবাসি।

এই নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলার গ্রামগঞ্জে মেয়ে জামাই ও আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত করে সমাগম ঘটনো হয়। স্বাধীনতার আগে দেশীয় প্রাজাতির ধান বাঁশপোড়. দাউশাইল, মাগুরশাইল, খাটবাদা, ভোগধানসহ নানা জাতের ধানচাষ করা হতো। সেই সময় এইসব ধান নবান্নের পূর্বেই কাটা ও মাড়াই হতো। নবান্নের দিন কাটা ধানের চালে আটা গোলা ছিড়নি ছিল নবান্নের প্রধান আকর্ষন। কিন্তু বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল ধানচাষের কারনে সেই সব ধান অগ্রহায়ন মাস নবান্নের পূর্বে অনেক কৃষকের ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হয়না। ফলে তারা ঐতিহ্যবাহি আটা গোলা ছিড়নি তৈরী করতে সক্ষম হয়না বলে কৃষক মমতাজ উদ্দিন ও মোজাহার আলী জানায়। কিন্তু আটা গোলা ছিড়নি না থাকলেও নবান্নে আনন্দ উৎসবের কমতি নেই। এখন প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে গরু মহিষ ও খাসির মাংস যোগ হয়েছে এই নবান্ন উৎসবে।

আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে দলগত ও কশাই খানায় প্রায় ২৫টি মহিষ, ২০টি গরু ও ১২টি খাসি জবাই হবে বলে বিভিন্ন প্রাপ্ততথ্যে জানাযায়। বিশেষ করে শালগ্রামেই ৮টি মহিষ ৬টি গরু ও ৩টি খাসি জবাই হবে বলে ওই গ্রামের আলতাফ আলী খান জানান। এছাড়া উক্ত গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পালা গানের আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো:হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.