গ্রিক সীমান্তে শরণার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে ইউরোপ তথা গ্রিক লাগোয়া সীমান্ত খুলে দিলো তুরস্ক। তুর্কি সরকার তার উপকূলরক্ষী এবং সীমান্ত পুলিশকে শরণার্থীদেরকে ইউরোপে প্রবেশে বাধা না দেয়ার আদেশের পর শরণার্থী এবং অভিবাসীদের স্রোতের মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তেজনা।

গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) খুলে দেয়ার পর সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপে ঢোকার সময় গ্রিক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এদিন এভ্রোস নদীর উপকূলবর্তী সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টাকালে তিন শতাধিক শরণার্থীর উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে গ্রিসের পুলিশ।

এরপরই “গ্রিসে কোনও অবৈধ প্রবেশকে সহ্য করা হবে না” বলে হুশিয়ারি দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ হুশিয়ারি দেন। খবর আল-জাজিরার

এদিকে, আজ শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) গ্রিক সরকারের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন যে, “আমাদের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য জড়ো হওয়া ৪ সহস্রাধিক শরণার্থীদের প্রচেষ্টা এড়ানো হয়েছে।”

এর আগে শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছিলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ১৮ হাজার শরণার্থী ইউরোপ সংলগ্ন তুর্কি সীমান্তে জড়ো হয়েছে এবং আজ শনিবার এই সংখ্যা ৩০ হাজারে পৌঁছছে।

এদিকে, গ্রীক সীমান্তে উত্তেজনা বিস্ফোরিত হচ্ছে, দাঙ্গা পুলিশ আগত শরণার্থীদের দলকে লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছে। যার মধ্যে কেউ কেউ প্রতিবাদে পাথর এবং জ্বলন্ত কাঠের টুকরো ছুড়ে মারছেন বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে।

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ এডরিন-এর সীমান্ত পেরিয়ে গ্রিসে ঢোকার সময় গ্রীক পুলিশ শরণার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এর জবাবে বেশ কয়েকজন শরণার্থী ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারেন। তবে এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.