গ্রামে বিকল্প ব্যাঙ্কিং পরিষেবার নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গ 

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ: প্রত্যন্ত গ্রামে বিকল্প ব্যাঙ্কিং পরিষেবার এ এক অনন্য নজির। গ্রামের মানুষ যাতে কোনওভাবেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় দফতরের অভিনব এবং বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিঃসন্দেহে মসৃণ করে তুলেছে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রগতির পথকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত পথে এই সাফল্যের কৃতিত্ব অবশ্যই রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের।
বিকল্প ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাটা ঠিক কী? অভিনব আইডিয়া। সি এস পি বা কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। এটিএম-সহ কোর ব্যাঙ্কিং-এর প্রতিটি সুযোগ-সুবিধেই পাওয়া যাচ্ছে সমবায় দফতর পরিচালিত এই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। এই মুহূর্তে মোট ২৬৩১ টি কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট আপন গতিতে এগিয়ে চলেছে গ্রামীণ অর্থনীতির সমৃদ্ধির লক্ষ্যে। দ্রুত খুলে যাচ্ছে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থানের অজস্র দরজা। বিদেশে কর্মরত সন্তানরা অনায়াসে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারছেন গ্রামের বাড়িতে, বাবা-মা-ভাইবোনের জন্য। যে সব গ্রামে বা পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও ন্যাশানালাইজড ব্যাঙ্ক বা কোনও সরকারি ব্যাঙ্কের শাখা নেই, সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এভাবেই পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্য সরকার পরিচালিত সমবায় আন্দোলনের সুফল।
এই অভিনব ভাবনার সূত্রপাত কেমন করে? শোনা যাক রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের মুখেই।
তাঁর কথায়, “অনুপ্রেরণার উৎস অবশ্যই আমাদের অবিসংবাদিত নেত্রী সংবেদনশীল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন গ্রামের মানুষের কথা, গ্রামীণ অর্থনীতির কথা। এখনও বহু গ্রামে অধিগৃহীত বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই। সেইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীদের অসুবিধে দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমন কোনও গ্রাম যাতে না থাকে যেখানে মানুষ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাঁর এই নির্দেশের সূত্রেই আমাদের এই অভিনব অভিযানের ভাবনা। লক্ষ্যপূরণের পথে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছি আমরা। ”লক্ষ্যণীয়, রাজ্যে সমবায় আন্দোলনে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এখন প্রতিটি ব্লকে নিয়োগ করা হয়েছে সি আই বা কো-অপারেটিভ ইন্সপেক্টর। সমবায় সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয় দেখভালের দায়িত্বে তাঁরাই।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের সময় থেকেই তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ  সদস্য অরূপ রায়। হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যমণি তিনিই। সংগঠনের ভিত গড়ে উঠেছে অরূপবাবুর হাতে। ২০১৬ থেকে  সমবায় দফতরের গুরু দায়িত্ব তাঁরই কাঁধে। বাম আমলে ঝিমিয়ে পড়া এই দফতরকে চাঙ্গা করে তোলা সম্ভব হয়েছে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বগুণে। বাংলার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যও। কেন্দ্রেও এখন স্বতন্ত্র মর্যাদায় সমবায় দফতর।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.