গোবিন্দগঞ্জে বিষাক্ত মদপানে ২ জনের মৃত্যু, গুরুতর অসুস্থ ৫

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিষাক্ত মদ পান করায় মেহেদী হাসান সোহাগ (৩২) ও তৌফিকুজ্জামান সৈকত (৩৫) নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও পাঁচ যুবক।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চকগোবিন্দ পাঠানপাড়ার আলমগীর হোসেন প্রধানের ছেলে মেহেদী হাসান সোহাগ, চক গোবিন্দ ঝিলপাড়ার মোশারফ হোসেনের ছেলে তৌফিকুজ্জামান সৈকত, চক গোবিন্দ পশ্চিম চৌমাথা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে রানা (৩২), সাজু মিয়ার ছেলে রানা (২৮), মৃত বাদল চন্দ্রের ছেলে বাঁধন সরকার (২৬), বাপ্পী (২৮), অভি (৩০) সহ আরও কয়েকজন যুবক বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে একসঙ্গে বসে মদপান করেন। এর দুই ঘণ্টা পর তারা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই জনের মৃত্যু হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, সোহাগ, সৈকত ও রানা নামে তিন যুবককে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অ্যালকোহল জাতীয় কিছু পান করার ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে রাত ১০টার দিকে সৈকত মারা যান। সোহাগ ও রানা অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে মেহেদী হাসান সোহাগ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি অসুস্থদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যাওয়া তৌফিকুজ্জামান সৈকতের লাশ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মৃত মেহেদী হাসান সোহাগের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বিটিসি নিউজকে জানান, দুইজনের মৃত্যুর খবর তারা জানতে পেরেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৌফিকুজ্জামান সৈকতের তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত না করার কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেছে পরিবারের লোকজন। অপরদিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মেহেদী হাসান সোহাগের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
মেহেদী হাসান আরও বলেন, দুইজনের মৃত্যু ও আরও ৫ জন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এ ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন তথ্যও দেননি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.