গোপালগঞ্জে ৩ ঘণ্টা শিথিলের পর আবার কারফিউ শুরু

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে তিন ঘণ্টা শিথিলের পর আবারও কারফিউ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) ছুটির দিনের দুপুরে কারফিউ শিথিলের সময় রাস্তাঘাট, দোকানপাটে এলাকাবাসী ভিড় করেছিলেন। তবে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় টানা কারফিউ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কারফিউ শিথিলের সময় শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, টেম্পু (মাহিন্দ্র), ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা যায়। জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন গন্তব্যে ছোটে মানুষ। মূল সড়কের পাশে ও গলির ভেতরের বেশকিছু দোকান খুললেও বিপণীবিতান বন্ধ ছিল।
লঞ্চঘাট এলাকার ফল বিক্রেতা মনির খান বলেন, কারফিউয়ে দোকান খুলতে না পারায় ৩ দিনে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল নষ্ট হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশের পরামর্শে দোকান বন্ধ করি। আজ সকালে কারফিউ শিথিল হলে ১১টার পর একবার খুলেছি। অনেক ফল নষ্ট হয়ে গেছে। 
পাবলিক হল রোডের কাপড় ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, বুধবার সকালের পর থেকে দোকান বন্ধ। তিনদিনে সাধারণত ৫০-৬০ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়। পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।
কারফিউ শিথিল হলে সকাল ১১টার পর চৌরঙ্গী এলাকায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে আসা আবির রহমান বলেন, গত দুই দিন বাসা থেকে বের হতে পারিনি। দরকারি কেনাকাটা ছিল। সেজন্য বের হলাম। কারফিউ শিথিল হলেও পথে লোকজন কম। সবার চোখে-মুখে এক ধরনের ভয়।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সরদার বলেন, শহরের পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। কারফিউ চলাকালে যেন কোনো দোকানপাট খোলা না থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের পর রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু হয়। তখন মেয়াদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলা হলেও পরে বাড়ানো হয়। এর মধ্যে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিথিল থাকে। এ সময়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি শাফিউল কায়েস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.