গুরুদাসপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে জলাবদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম শুরু


নাটোরপ্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে ১৭০ জন কৃষকের প্রায় ১০০ বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন করে চাষাবাদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পাচপুরুলিয়া গ্রামের ১৭০ জন কৃষক কোদাল দিয়ে ১০০০ফিট লম্বা জায়গা খনন করে নিচে পাইপ দিয়ে ওই নিষ্কাশন ব্যবস্থা কার্যক্রম শুরু করেছেন।

আজ শনিবার সকালে সরেজমীনে গিয়ে দেখাযায়, ওই এলাকার মাঠের ১০০ বিঘা জমি জলবদ্ধতায় রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করার কারনে পানি বের হতে পারে না। পানি বের না হওয়ার কারনে জলাবদ্ধতায় পরিনত হয়েছে। মাঠে অবস্থিত প্রত্যেক জমির কৃষক মিলে চাষাবাদ করার জন্য নিজেদের অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম শুরু করেছেন। পানি নিষ্কাশন বাবদ তাদের স্বেচ্ছাশ্রম ছাড়াও নগদ খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা।

পানি নিষ্কাশন কার্যক্রমের উদ্যোক্তা ওই এলাকার সমাজ সেবক মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করার কারনে আমাদের মাঠের ১০০ বিঘা জমি জলাবদ্ধতায় পরিনত হয়েছে। সব সময় জমিতে পানি জমে থাকার কারনে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই মাঠের প্রতিটি কৃষক এই জমির ফসলের উপর নির্ভর করে এবং সংসার চলে। এমনকি ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাও ফসলের টাকায় চলে। চাষাবাদ করার উপযোগি করার জন্য নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে ও প্রত্যেক জমির কৃষকদের চাঁদার টাকায় পানি নিষ্কাশনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আশা করি এই কার্যক্রম শেষ হলে জমি গুলো চাষাবাদের উপযোগি হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এলাকাবাসী আমাকে জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের প্রস্তাবনা ইতিমধ্যেই দিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই একটি ব্যবস্থা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কৃষকদের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য যে কার্যক্রম তারা শুরু করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.