গুরুত্বপূর্ণ তিন শহরের দখল নিতে তালেবানের তীব্র লড়াই

(গুরুত্বপূর্ণ তিন শহরের দখল নিতে তালেবানের তীব্র লড়াই–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে তীব্র লড়াই চলছে। সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে এসব শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে তালেবান সেখানে তীব্র হামলা চালাচ্ছে।
পশ্চিমের হেরাত শহরে বিদ্রোহীরা তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা শহরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। লড়াই চলছে লস্কর গাহ এবং কান্দাহারেও। তালেবান যোদ্ধারা হেরাত শহরের দক্ষিণে রণাঙ্গন এলাকা অতিক্রম করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে; এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসির আনবারাসান এথিরাজন জানিয়েছেন, গতকাল আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন মার্কিন বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে তারা তালেবান বিদ্রোহীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন। শনিবার হেরাতে আবার তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে
সরকার সমর্থক ৭০ বছরের একজন কমিউনিটি নেতা ইসমাইল খান বলেন, হেরাত রক্ষা করতে তিনি মিলিশিয়াদের সাহায্য নিচ্ছেন। দক্ষিণেও তালেবান তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে।
কাবুল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি জানান, হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরে বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং একজন মারা গেছে। হাসপাতালের ভেতর কতজন ছিলেন সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) আফগান সরকারের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা লস্কর গাহ শহরে তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সমর্থ হয়েছেন এবং আমেরিকান বিমান হামলায় অনেক তালেবান যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বিবিসিকে বলেছে, তালেবান গতকাল গর্ভনরের দফতরের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। কিন্তু তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।
একজন আফগান এমপি বিবিসিকে বলেছেন, লড়াইয়ে কান্দাহার শহরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। খাদ্য ও পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তালেবান কান্দাহার দখল করলে আরও পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
আফগানিস্তান বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন বলেছেন, তার আশঙ্কা যুদ্ধ আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার ধারণা তালেবান এখন আগের মতোই আবার একটি ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে।
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে এখন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলে ধস নামতে পারে। পরিণামে তালেবান আবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। সেখান থেকে আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি তৈরি হতে পারে। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.