গিনি বিসাউয়ে অভ্যুত্থানচেষ্টা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ে একটি অভ্যুত্থানচেষ্টায় নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর দেশটির রাজধানী বিসাউয়ের একটি সরকারি ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলছিল। এ সময় এ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়। সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার মন্ত্রীদের আটক করেছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের। 
পরে সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো বলেন, পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি এই অভ্যুত্থানচেষ্টাকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হামলা বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, যে হামলাটি হয়েছে তার সঙ্গে ‘মাদক চোরাকারবারে জড়িত ব্যক্তিদের যোগসাজশ’ থাকতে পারে।
বন্দুকধারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি এবং কতজন নিহত হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যাও প্রেসিডেন্ট দেননি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র বন্দুকধারীরা যখন সরকারি প্রাসাদে হামলা চালায়, তখন প্রেসিডেন্ট এমবালো প্রাসাদের ভেতরে প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেস নাবিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন।
এক নিরাপত্তা সূত্র বিবিসিকে জানায়, সাদা পোশাকে থাকা বন্দুকধারীরা গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এ দেশটি একসময় পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল। ১৯৭৪ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটিতে বহুবার অভ্যুত্থান বা অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছে। ১.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশে চারবার অভ্যুত্থান এবং ডজনেরও অধিকবার অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গিনিতে এ ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি দেশটিতে এ ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিপুল বৈদেশিক ঋণের চাপে জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি বিদেশি সাহায্যের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। লাতিন আমেরিকান মাদক চোরাচালানের অন্যতম ট্রানজিট পয়েন্টও গিনি বিসাউ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.