বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম ঘন্টায় চমৎকার ফুটবল খেলল বার্সেলোনা। গাভি ও লামিনে ইয়ামালের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল তারা। শেষ দিকে তাদের ওপর চাপ বাড়াল আথলেতিক বিলবাও। দুবার জালে বল পাঠিয়েও কোনো গোল পেল না তারা অফসাইডের কারণে। টানা তৃতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা।
সৌদি আরবের জেদ্দায় বুধবার রাতে প্রথম সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। দুই অর্ধে একটি করে গোল করেছে তারা।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার রেয়াল মাদ্রিদ ও মায়োর্কার মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।
কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে শুরুতে বিলবাওকে চেপে ধরা বার্সেলোনা প্রথম সুযোগ পায় পঞ্চম মিনিটে। জুল কুন্দের পাস বক্সে পেয়ে উড়িয়ে মারেন রাফিনিয়া। তিন মিনিট পর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিক ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
সপ্তদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পেদ্রির পাস বক্সে খুঁজে পায় আলেহান্দ্রো বাল্দেকে। এই ডিফেন্ডারের কাট-ব্যাকে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে প্রথম স্পর্শে বল জালে পাঠান গাভি।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ২০ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের প্রথম গোল এটি। হাঁটুর গুরুতর চোটে ১১ মাস বাইরে থাকার পর গত অক্টোবরে মাঠে ফেরেন তিনি।
২৪তম মিনিটে ডাবল সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি সিমোন। রাফিনিয়ার প্রচেষ্টা ফেরানোর পর ইয়ামালের শটও ঠেকান এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে এখানে খেলতে নামা বিলবাও সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ পায় ৩৬তম মিনিটে। গোর্কার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পেয়ে উড়িয়ে মারেন বিলবাও অধিনায়ক ইনাকি উইলিয়ামস।
কোপা দেল রের শেষ বত্রিশের লড়াইয়ে গত শনিবার বার্বাস্ত্রোকে ৪-০ গোলে হারানো বার্সেলোনা ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৫২তম মিনিটে। গাভির পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইয়ামাল।
অ্যাঙ্কেলের চোট কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর মাঠে ফিরেই গোলের দেখা পেলেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে তার গোল হলো ৭টি, সঙ্গে অ্যাসিস্ট আছে ১২টি।
একটু পর বক্সে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রবের্ত লেভানদোভস্কি।
৬৩ থেকে ৭৩- এই ১০ মিনিটের মধ্যে প্রথমে ইয়ামাল, পরে একসঙ্গে গাভি ও লেভানদোভস্কিকে তুলে নেন বার্সেলোনা কোচ। বদলি নামানো হয়, ফের্মিন লোপেস, ফেররান তরেস ও ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে। বার্সেলোনার খেলার গতিও কমে যায় কিছুটা।
৮২তম মিনিটে দি মার্কোস বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। চার মিনিট পর ইনাকি উইলিয়ামস জাল খুঁজে নিলেও ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল পেতে পারতেন তরেস। তার শট গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার।
গত বছরের শেষ দুই মাস ভীষণ বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা নতুন বছরে প্রথম দুই ম্যাচেই পেল জয়ের স্বাদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.