গাড়িতে ‘প্রেস’ লিখে মাসে ২২ লাখ টাকা প্রতারণা!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাড়িতে ‘প্রেস’ লিখে পুলিশের চোখে ধুলা দিয়ে এটিএম জালিয়াতি করে বেড়াতেন তিনি। এভাবে মাসে আয় করতেন প্রায় ১৮ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ২২ লাখেরও বেশি! এই অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা সুব্রত গিরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গ্রেপ্তার সুব্রতের কাছ থেকে ১৯০টি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড জব্দ করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তার কাছ থেকে তিনটি আইফোন, সোয়াইপ মেশিন, ভুয়া প্রেস কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দাদপুর থানায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি নিমাই চৌধুরী, সিআই ধনিয়াখালি দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য ও ওসি প্রশান্ত ঘোষ।
ডিএসপি নিমাই চৌধুরী বলেন, ‘গত ২৭ ডিসেম্বর হারিট বাজারে ব্যাঙ্কের সামনে এক স্বেচ্ছাসেবক ডিউটি করছিলেন। বাজারে দুটি এটিএম কিয়স্ক রয়েছে। সেখানে একটি কালো রঙের গাড়ি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির চালক মাঝেমধ্যে এটিএমে ঢুকছেন, আবার বেরিয়ে এসে গাড়িতে বসছেন। তার আচরণে সন্দেহ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবকের।’
ডিএসপি বলেন, ‘তিনি দাদপুর থানায় খবর দেন। ওসি সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। কিন্তু পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। তার গাড়ি ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত সুব্রত পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায় থাকেন। ভূগোলে স্নাতক সুব্রত প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে বছর দুই ধরে এভাবে প্রতারণা   শুরু করেছেন।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এটিএমে টাকা তুলতে সাহায্য করার নাম করে অন্যের এটিএম কার্ডের পিন নম্বর জেনে নিয়ে টাকা তুলে নিতেন সুব্রত। এভাবে মাসে প্রায় ১৮ লাখ রুপি প্রতারণা করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, সুব্রতের গাড়ির সামনে ‘প্রেস’ লেখা থাকলেও তিনি কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নন। পুলিশের চোখে ধুলা দিতে গাড়িতে প্রেসের স্টিকারের সঙ্গে ‘কার পাস’ স্টিকারও ব্যবহার করেছিলেন তিনি। অভিযুক্তকে সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.