গাজা-মিসর সীমান্ত করিডোর নিয়ন্ত্রণে নিল ইসরায়েল

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে তারা গাজা ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র বলেছেন সেখানে তারা ২০টি সুরঙ্গ খুঁজে পেয়েছে যা হামাস অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ফিলাডেলফি করিডোর একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা মাত্র একশ মিটার প্রশস্ত। আর মিসর সীমান্ত থেকে গাজার দিকে তের কিলোমিটারের মতো। মিসর এর আগে বলেছে যে তারা আন্তঃসীমান্ত (উভয় সীমান্তের সাথে সংযুক্ত) টানেলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে এগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র চোরাচালান অসম্ভব।
মিসরীয় টেলিভিশনে একটি সোর্সকে উদ্ধৃত করে আইডিএফের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।
আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আইডিএফ সৈন্যরা মিসর ও রাফাহ সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি এই করিডোরকে হামাসের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, এই পথে হামাস নিয়মিত গাজা উপত্যকায় অস্ত্র আনার কাজ করে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন সৈন্যরা ‘অনুসন্ধান করে দেখছে …. এবং ওই এলাকার টানেলগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ করছে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৮১ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.