গাজা ইস্যুতে পশ্চিমা নেতাদের যে সতর্কবার্তা দিলেন এরদোগান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, হলোকাস্টের অপমান ইউরোপীয় নেতাদের ঘিরে রেখেছে। গাজায় যা ঘটছে তাতে যদি আমরা কড়া প্রতিক্রিয়া না দেখাই, তা হলে আমরা আগামী দিন ধর্মান্ধ দখলদারকে আমাদের নিজেদের ভূমিতে পৌঁছাতে বাধা দিতে পারব না।
সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোগান পশ্চিমাদের এই সতর্কবার্তা দেন। 
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তাই বলকান থেকে ককেশাস, কৃষ্ণসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূল পর্যন্ত আমাদের চারপাশে ঘটতে থাকা যে কোনো ঘটনা আমাদের জন্য সরাসরি উদ্বেগের বিষয়।
আজারবাইজানের অন্তর্গত দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের নাগরনো-কারাবাখের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাজা আমাদের হৃদয়ে কারাবাখের মতো একই জায়গায় রয়েছে। সম্প্রতি প্রায় ৩০ বছরের আর্মেনিয়ান দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়েছে কারাবাখ।
তুরস্ক গাজার জনগণের জন্য এই অঞ্চলে ৮০০ টন মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, তুরস্ক যখন গাজায় রক্তপাত বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন আমরা পশ্চিমা দেশগুলোর নীতিহীনতা দেখে বিব্রতবোধ করছি।
তিনি বলেন, গাজার বর্বরতার মুখে বিবেক ও মানবতার কণ্ঠস্বর হওয়ার দায়িত্ব এখন তুরস্কের ওপর। তার ভাষায়— ইসরাইল খোলাখুলিভাবে পরমাণু অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করছে।
এরদোগান বলেন, ইসরাইল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের নামে শিশু, নারী ও বয়স্কদের বিরুদ্ধে আধুনিক সব অস্ত্র ব্যবহার করছে এবং হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে গাজাবাসীর মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ইসরাইল ও তার সমর্থকদের মধ্যে যারা শিশু, নারী ও বয়স্কদের বিরুদ্ধে আধুনিক যুদ্ধের সব হাতিয়ার ব্যবহার করছে, তাদের মানবতার বিবেকের সামনে বিচার করা হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের শুরু থেকে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি মধ্যযুগীয় ক্রুসেড এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতা দেখে চলেছে। এরদোগান বলেন, তুরস্কই ‘একমাত্র দেশ’ যাকে ইসরাইল ইহুদিবিরোধী বলে আখ্যা দিতে পারে না। তুরস্কের অতীত সময়েও আপনি এমন লজ্জার দাগ দেখতে পাবেন না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.