গাজার হাসপাতালে জ্বালানি সরবরাহ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল : জাতিসংঘ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল গত সপ্তাহে পাঁচবার উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি সরবরাহের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিচ জানিয়েছেন, উত্তর গাজার বেশ কিছু হাসপাতাল ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে নতুন জ্বালানি সরবরাহ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। মিডলিস্ট মনিটর বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ডুজারিচ বলেন, গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার পর হাসপাতালগুলোতে জেনারেটর চালানোর জন্য জ্বালানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহে পাঁচবার ইসরায়েলের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েল জ্বালানি ট্রাকগুলোকে হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে ডুজারিচ বলেন, ‘আমার যতদূর জানা আছে তারা কারণগুলো বলে না।’
ডুজারিচ আরো বলেন, ‘উত্তর গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রচেষ্টা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ এটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠাতে হয়।
এ ছাড়া একটি অভ্যন্তরীণ তল্লাশি চৌকিও পার হতে হয়। অন্যদিকে ইসরায়েলের দিক থেকে গাজার দিকের দিকে ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করা হলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে আমাদের অবাধে প্রবেশের অনুমতি নেই।’
জাতিসংঘের এ মুখপাত্র আরো উল্লেখ করেন, গাজার দক্ষিণ অংশে স্থানান্তরিত মানুষের সংখ্যা অনেক। নিরবচ্ছিন্ন স্থানান্তরের কারণে ওই সব জায়গায় চলাচল করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, গাজায় পোলিও টিকাদানের জন্য ১১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য প্রচেষ্টা চলছে। কর্মসূচির প্রথম ধাপে গাজায় ১০ বছরের কম বয়সী ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুর মধ্যে অন্তত ৯৫ শতাংশকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ইসরায়েল গাজা অভিযানের ক্রমবর্ধমান নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এই আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এ ছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ৯৪ হাজার। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের কঠোর অবরোধের কারণে গাজার বিশাল অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলেও দেশটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.