বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গত ৪৪ দিনে প্রায় ৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল। এসব হামলায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানায় গাজার সরকারি গণমাধ্যম দফতর।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের ৩৪২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও প্রবীণ।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দফতর শনিবার (২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারাবাহিক ও গুরুতর লঙ্ঘনকে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর নিন্দা জানাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই লঙ্ঘনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রটোকল ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শনিবারই ২৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়েছে, যাতে ২৪ জন শহীদ এবং ৮৭ জন আহত হয়েছে।’
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতরের দাবি, সম্প্রতি ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় হামাসের এক যোদ্ধা ইসরাইলি সৈন্যদের ওপর হামলা করেছে। যার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় এসব হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

অপরদিকে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘মনগড়া অজুহাতে’ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে হামাস। এসময় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের প্রতি অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়।
শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি যুদ্ধবরতির লঙ্ঘন বন্ধে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ইসরাইলকে চুক্তির শর্ত পালনে বাধ্য করতে আহ্বান জানাই।’
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলের সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়ায় ওই অঞ্চলের অনেক পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আরেকটি লঙ্ঘন বলেও দাবি তাদের।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা থাকলেও ইসরাইল এখনো গাজায় প্রয়োজনীয় সহায়তা ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবাহে নিয়মিত বাধা দিয়ে যাচ্ছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশেক কুদস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে সরে আসতে নানা অজুহাত বানাচ্ছে। অথচ প্রতিদিন তারাই বিভিন্নভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে এবং পুনরায় যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাচ্ছে।’ #















