বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা সিটির কিছু এলাকা ছেড়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের সরে যাওয়ার পর সেখানে সংঘটিত গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র একের পর এক সামনে আসছে।
গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের তথ্যে সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে। কর্মীরা একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৪৫ মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ইসরায়েলি হামলায় ভবনটি অনেক আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া পরিবারের এক সদস্য আবু মুহাম্মদ সালেম দাবি করেন, পরিবারের সব সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে যথাযথভাবে দাফন করা হোক।
তিনি বলেন, ‘আমার একটাই আশা, শেষ মরদেহটিও উদ্ধার করা হোক। সদস্যরা অন্তত স্বতন্ত্রভাবে কবরস্থানে দাফন হওয়ার সুযোগ পাক। যাতে আমরা অন্তত জানতে পারি, তারা কোথায় সমাহিত হয়েছেন।’
মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে বলেন, বড় ও শক্তিশালী খননযন্ত্র থাকলে উদ্ধারকাজ আরও দ্রুত করা যেত। বর্তমান গতিতে উদ্ধারকাজ চালতে থাকলে পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় তিন বছর সময় লাগতে পারে।
গাজা কর্তৃপক্ষ বলছে, ফিলিস্তিন ছিটমহলে ভারী বৃষ্টিপাতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ভবন ধসে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা মরদেহ উদ্ধার কঠিন হয়ে পড়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি থাকলেও ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে। #















