বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত এবং ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে নিম্নচাপ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোর থেকে জীর্ণ তাঁবু ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ধসে পড়ার সতর্কতার মধ্যে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির দুর্ভোগ আরও খারাপ হয়ে উঠছে।
ফিলিস্তিনি আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত এবং কখনো কখনো বজ্রঝড় দেখা দিচ্ছে।
গাজা সিভিল ডিফেন্স বাসিন্দাদের – বিশেষ করে যারা তাঁবুতে থাকেন, তাদের জন্য বন্যা ও ধসের ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে একাধিক জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে।
এক বিবৃতিতে সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় তীব্র বাতাস বইছে। সমুদ্রের পানি যাতে তাঁবুতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য বালির বাধা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ব্যাপক বোমা হামলা হয়েছে এবং বসবাসের উপযুক্ত নয় – এমন ভবন থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেননা এগুলো বাসিন্দাদের ওপর ধসে পড়তে পারে।
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গত দুই বছরের তীব্র আক্রমণে ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনিরা কয়েকবার করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের তাঁবুগুলো উড়ে গেছে বা ছিঁড়ে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থার অভাবে তাদের পরিস্থিতি ক্রমাগত আরও খারাপ হয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিস অনুমান করছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির কারণে সমস্ত তাঁবুর ৯৩% আশ্রয়ের জন্য উপযুক্ত নয়।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির পরও এমন দুর্ভোগের মাঝে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় প্রয়োজন অনুযায়ী মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েল গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মানবিক প্রোটোকল লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে তাঁবু এবং মোবাইল হোমের মতো আশ্রয়সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজা অঞ্চল মূলত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। #

















