গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৬৩

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন। বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বুরেইজ শরণার্থী শিবির এবং উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া ক্যাম্পে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরতা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্চে, তখন সেখানে সংঘাত আরও উসকে দিচ্ছে ইসরাইল। হামাস সদস্যদের হত্যার অজুহাতে মধ্যাঞ্চলের বুরেইজ শরণার্থী শিবির এবং উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া ক্যাম্পে তাণ্ডব চালাচ্ছে দখলদাররা।
জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলায় অন্তত দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ভয়াবহ হামলায় এলাকাগুলোতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বেসামরিকের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাবালিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানিয়েছেন সেখানে হামলার তীব্রতা বাড়ছে।
হামলায় ধ্বংসস্তূপে যারা আটকা পড়েছে তাদের উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন বেসামরিক বিভাগের কর্মীরা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাবালিয়া ক্যাম্পে পুলিশ বাহিনীর প্রধান রুদওয়ান রুদওয়ান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় শুক্রবার এক আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। খবরে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে বলা হয়, সেখানে বিমান হামলায় কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির বিমানবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকার ৬০টিরও বেশি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর আগে গাজা সিটির আহলি আরব হাসপাতালে কাছে হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিজের তিন ছেলের মৃত্যু গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে প্রভাবিত করবে না বলে জানিয়েছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। হামলার পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত করতেও সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। বিভিন্ন সংস্থার টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঝটিকা এক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। এর পর পুরো গাজা উপত্যকার সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে এক প্রতিহিংসামূলক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে ইসরাইল। গেলো ছয় মাস ধরে গোলাবর্ষণ ও নির্বিচার ধবংসযজ্ঞের মাধ্যমে গোটা গাজাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।
গাজার উত্তরে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্সির (ইউএসএইড) প্রধান সামান্থা পাওয়ার। দুর্ভিক্ষ শুরুর বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম কোনো মার্কিন কর্মকর্তা প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করলেন বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.