বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির তোয়াক্কা না করে গাজা উপত্যকায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে মিশর-তুরস্ক। দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে দুই দেশ।
গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে ‘ইয়েলো লাইন’ বা হলুদ রেখা। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর প্রায় প্রতিদিনই এই রেখা অতিক্রমের অযুহাতে দখলদার বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে হচ্ছে উপত্যকার বাসিন্দাদের। বুধবারও (১২ নভেম্বর) খান ইউনিস এলাকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক মাসের কম সময়ের মধ্যে দেড় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে উপত্যকায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ১৬ হাজারের বেশি মানুষ জরুরি চিকিৎসার অপেক্ষায় আছেন। যার মধ্যে প্রায় চার হাজারই শিশু। ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার মতো অবস্থায় নেই। ডব্লিউএইচও গত দুই বছরে প্রায় ৮ হাজার রোগীকে গাজার বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর সংস্থাটি চেষ্টা করছে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন ফিলিস্তিনিদের দ্রুত অন্য দেশে পাঠাতে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে মিশর-তুরস্ক। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, উভয় দেশ দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে।
অন্যদিকে, চলমান দুর্নীতি মামলায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পূর্ণ ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সরাসরি ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে ট্রাম্প লেখেন, যুদ্ধের সময়ে নেতানিয়াহু একজন ‘শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি ইসরাইলকে ‘শান্তির পথে’ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। #

















