গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্বামী শশুর শাশুড়ীর নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শিকলবন্দি জীবন রুমি বেগমের। বিয়ের পর ভালোই চলছিল রুমি বেগম ও এনামুল মিয়া দম্পতির সংসার।
রুমির কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। এ কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকে স্বামী শশুর শাশুড়ীর নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারায় রুমি। হয় স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত। এরপর রুমির স্থান হয় মৃত পিতার বাড়ীতে। বি
উপজেলার আমলাগাছী বাজারে শিকলবন্দী অবস্থায় দেখা যায় মানসিক ভারসাম্যহীন রুমি। এসময় পায়ে শিকলপাড়া অবস্থায় এক পা এক পা বাড়িয়ে চলছেন। একে তো দু’পায়ে দুটো বালা, তাতে তালা দিয়ে শিকল বাধা। পায়ের গোড়ালী গুলোসহ হাটু পর্যন্ত নানা স্থানে ধরেছে ঘা। এক পা এক পা করে বাজারের এপার হতে ওপার এ গ্রাম হতে ও গ্রাম ঘুরে ফিরছেন আপন মনে। ঘুরতে ঘুরতে কখনো গলা ছাড়িয়ে গান গায় আবার একা একা কথা বলে স্পষ্ট ভাষায়। ইংলিশ ও বাংলা লেখা সহসাই পড়ছে জোড়ে। কিন্তু সে ক্যামেরা সামনে কোন কিছু বলতে চায়না। বন্দি জীবনের বিষয়ে কিছু জানাতেও চায় না।
স্থানীয়দের নিকট জানা যায়, ভালো ফলাফল নিয়ে এসএসসি পাশ করার পর বিয়ে হয় রুমির। তারপর সেখানে এক কন্যা সন্তানের জননী হন কিন্তু সেখানে স্বামী শশুর শাশুড়ীর নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শিকল বন্দি জীবন যাপন করছেন রুমি বেগম।
রুমি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের কয়ারপাড়া গ্রামের মৃত দবির উদ্দিন মেলেটারির কন্যা। চার বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। অসহায় পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় রুমি বিনা চিকিৎসায় দিনের পর দিন শিকল বন্দি জীবন যাপন করছে।
রুমি বেগমের মা মেহেরুনেসাসহ পরিবারের লোকজন বিটিসি নিউজকে জানান, স্বামী শশুর শাশুড়ীর নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সাড়ে তিন বছর হলো শিকলবন্দি জীবন যাপন করছেন রুমি। তার চিকিৎসায় সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করেছে পরিবার।
বর্তমানে ব্যয় বহন করা সম্ভব না হওয়ায় ও তাকে না হারানোর ভয়ে কামারের নিকট গিয়ে পায়ে কড়া বালা শিকল পড়িয়ে দিয়েছে রুমির অসহায় মা মেহেরুনেসা। তিনি সরকারি সহায়তায় দিয়ে তার কন্যার সুচিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.