গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় আবারও হিমেল হাওয়াসহ ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে হালকা রোদ উঠলেও কোন উত্তাপ ছিল না। আকাশ ঘন কুয়াশা আর মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে দিনভর। সেইসাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে।
হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় এবং রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ায় এ জেলার মানুষরা চরম বিপাকে পড়ে। শীতে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা,গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার ছিন্নমুল মানুষসহ চরাঞ্চলের মানুষরা বেশী দুর্ভোগের কবলে পড়ে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি। অনেকে শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে গেলেও মিলছে না কাজ। মাঘের শীতে জড়সড় হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার জনজীবন।
এদিকে শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাড় কাঁপানো মাঘের শীতে হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়ছে ও আসন্ন ইরি-বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠান্ডার প্রকোপে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ায় রিকশাচালকদের পড়তে হচ্ছে যাত্রী সঙ্কটে। ফলে আয়ও কমে গেছে তাদের। নিম্নআয়ের মানুষ, ছিন্নমূল, দুঃস্থ অসহায় ও চরাঞ্চলের লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে ঠান্ডায়। প্রয়োজন মতো গরম কাপড় না থাকায় শীত নিবারণে অনেকে খড়কুটোয় আগুন ধরিয়ে শরীরে তাপ নিচ্ছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.