গাইবান্ধায় ছাত্রীর প্রেম ঘটিত বিষয় অপহরণের অভিযোগ, ছাত্রী উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী তার  প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যেয় পাড়ি জমায়। এদিকে প্রেমিকা স্কুল ছাত্রীর পরিবার উক্ত এলাকার চার যুবকের নামে অপহরণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করে। পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে কাশিয়াবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী  মোসলেমা খাতুন(১৩) পড়ালেখা করে।
আর তার স্কুলে যাতায়াতের সময় একই ইউনিয়নের বেঙ্গুলিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম(২০) প্রায়ই ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন সহ উত্যক্ত করে আসছিলো। বিষয়টা ওই  মেয়ে তার পরিবারকে জানালে আশরাফুল ও তার পরিবারকে সাবধান সহ এ পথ থেকে সরে আসতে বলে। আর এতে আশরাফুল মনে মনে ক্ষিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে গত শনিবার ১১ জুলাই ওই ছাত্রী সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে কাশিয়াবাড়ী স্কুলে প্রাইভেট পড়ার জন্য বেড়িয়ে পড়ে। ওই ছাত্রী কাশিয়াবাড়ী এলাকায় পৌছালে উক্ত আশরাফুল ও বেঙ্গুলিয়া গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২০), মমিনুলের ছেলে মামুন মিয়া (১৯) ও তমছেল মিয়ার ছেলে নাজমুল হক (১৮) একটি অপরিচিত সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে ওই ছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এদিকে সরেজমিনে উক্ত এলাকায় গিয়ে জানাযায়, ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রী পড়ালেখার ফাঁকে একটু প্রেমের তামিল নিচ্ছুলো একই এলাকার আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে।
গোপনে চুটিয়ে প্রেম করে শেষে দুজনে ঘর বাঁধার উদ্দেশ্যেয় পাড়ি জমায় অজানার পথে গত শনিবার ১১ জুলাই দুপুরের দিকে।
ওইদিন রাতেই ওই ছাত্রীর পিতা সেকেন্দার আলী তার মেয়েকে উল্লেখিত ৪ যুবক অপহরণ করেছে বলে ঘটনার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরপরই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান দিকনির্দেশনায় এসআই হাসিবুর রহমান হাসিব ও সঙ্গীয় ফোর্স ভিকটিম ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য এক অভিযান চালায়।
পরে থানা পুলিশ রাতেই আশরাফুলের বাবা আবু তাহেরকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রবিবার ১২ জুলাই রাত ৯টার এসআই হাসিবুর রহমান হাসিব ও সঙ্গীয় ফোর্স ওই ছাত্রীকে জুনদহ এলাকা থেকে উদ্ধার করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.