গাইবান্ধা প্রতিনিধি: জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ডাম্পিং করায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার গ্রামে অনেকটা ভাঙন রোধ সম্ভব হয়েছে। স্বস্তির হাফ ছেড়েছে ওই গ্রামের বসবাসরত পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর বিশেষ আবেদনের ভিত্তিত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ডাম্পিং করে। সে কারণে বর্তমানে কাশিমবাজার গ্রামে ভাঙন বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসির দাবি ভাঙন কবলিত এলাকায় নিয়মিত জিও টিউব ফেলা অব্যাহত রাখলে ভাঙনের গতিপথ পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে। তাদের দাবি বালুর বস্তা, জিও ব্যাগ, প্যালাসাইটিং এর চেয়ে জিও টিউবের কার্যকারিতা অনেক বেশি। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার ভাঙন গোটা বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে।
তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় অসময়েও ভাঙন চলমান রয়েছে। প্রতিনিয়ত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। সে কারণে গৃহহীন হয়ে পড়ছে হাজারও পরিবার। বতমানে উপজেলার হরিপুর, বেলকা, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি চরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
তবে জিও টিউব ফেলার কারণে হরিপুরের কাশিম বাজার গ্রামে ভাঙন অনেকটা রোধ সম্ভব হয়েছে। কাশিমবাজার গ্রামের স্কুল শিক্ষক মকবুল হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, জিও টিউব ডাম্পিং করায় গত এক সপ্তাহ হতে ভাঙন বন্ধ রয়েছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করতে বা কাশিমবাজারকে রক্ষা করতে গেলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বিটিসি নিউজকে জানান, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করতে না পারলে হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বান্তবায়ন কর্মকর্তা বিটিসি নিউজকে জানান, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড আন্তরিকতার সহিত কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধ সম্ভব হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.