গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই রাস্তার গাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের কাচা সড়কে বেড়ে ওঠা ৬২টি ইউক্লিপটাস গাছ কেটে নিচ্ছে এলাকার ব্যাপারী সেলিম মিয়া। নেই বন বিভাগের কোন অনুমোদন, এমনকি নেই ইউএনও’র ও কোন অনুমোদনের কাগজ। ক্ষমতার দাপটে আইনের তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছে তাই করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছের ব্যাপারি সেলিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাছগুলো তিনি কিনে নিয়েছেন। গাছ গুলো লাগিয়েছিলো স্থানীয় একটি সমিতির কিছু লোক। তারাই আমার নিকট গাছগুলো বিক্রি করেছে। এমনকি দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দীন ও তার অন্যান্য সদস্যরা মিলে চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষরিত অনুমোদন সম্বলিত একটি রেজুলেশনের কপি আমার হাতে দিয়ে জানায়, এই গাছ কর্তনে কোনো বাধা নেই। তখন আমি এই গাছ কিনে নিতে রাজি হই।
চেয়ারম্যান বলেছে কোনো সমস্যা নেই। তার (চেয়ারম্যান) এর কথার ভিত্তিতেই আমি এখন গাছ গুলো কেটে নিচ্ছি।
এব্যাপারে দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, গাছগুলো ছেলিম ব্যাপারীর নিকট বিক্রি করেছি, টাকাও নেয়া হয়েছে। এটা সত্য।
এব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন, ঘটনা আমার জানা নেই। পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে সমবায় সমিতির নামে কিছুলোক গাছ বিক্রি এবং কর্তন করছে এঘটনাটি আমি এইমাত্র জানতে পারলাম।
এব্যাপারে গাছ কর্তনের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, নিয়ম হচ্ছে এবিষয়ে ইউনিয়নে মিটিং হবে, সেখানকার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউএনও বরাবর আবেদন করে অনুমতি চাইলে তা বিবেচনা করে অনুমতি দিলে তবেই গাছ কাটতে পারবে। কিন্তু তারা তা করেনি। তিনি আরও বলেন, যদি অনুমোতি ছাড়াই তারা এটা করে থাকে তাহলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.