গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কম খরচে মাল্টা চাষে লাভবান কৃষক শরিফুজ্জামান

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী প‍ৌরসভার সুইগ্রামের কৃষক শরিফুজ্জামান শরীফ মাল্টা চাষে লাখপতি। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন মাল্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
পৌরসভার সুইগ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে শরিফুজ্জামান শরীফ মাত্র ৮৫ শতক জমিতে বারী মাল্টা-১ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলনও বাম্পার হয়েছে। গাছের ফাঁকে ফাঁকে সবুজ মাল্টা থোঁকায় থোঁকায় ঝুঁলিয়ে আছে।
২০১৮ সালে ইউটিউবে মাল্টা চাষের ভিডিও দেখে সখের বসে তিনি যশোর থেকে ২শ৫০ টি মাল্টার চারা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করেন। এরপর ২০২০ সালে প্রথম ১শ মন মাল্টা বিক্রি করেন ৫ লাখ টাকায়।
২০২১ সালে ২শ ১৫ মন মাল্টা বিক্রি করেন ৯ লাখ টাকায়। এবছর তিনি টার্গেট করেছেন আড়াইশ থেকে তিনশ মন মাল্টা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তার মাল্টা বাগানে প্রতিদিন কাজ করে দুই থেকে তিন জন শ্রমিক।
মাল্টা চাষী শরিফুজ্জামান শরিফ বিটিসি নিউজকে জানান, মাল্টা চাষে খরচ খুব কম। রোগ বালাই কম। প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঝুঁকি ঝামেলাও কম। বাজারে মাল্টার চাহিদা প্রচুর। আমার বাগান থেকেই ফল ব‍্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে কিনে নিয়ে যায়। আমার মাল্টা চাষে খরচ হয়েছে এ পযর্ন্ত ১ লাখ টাকা। একটি গাছ থেকে প্রথমে ১ মন,পরের বছর দুই মন ও এ বছর তিন মনের আশা করছি। আমার দেখাদেখি এখন অনেকেই মাল্টা চাষ করেছেন। মাল্টা চাষী শরিফ আরো জানান, মাল্টা বাজারজাত করণের উপযুক্ত সময় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। এই সময়ে ফলটা বিক্রি করলে ক্রেতা পাবে স্বাদ,কৃষক পাবে লাভ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু বিটিসি নিউজকে জানান, মাল্টা অধিক লাভজনক সুস্বাদু ও রসালো ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলায় ৩ একর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। আমরা মাল্টা চাষে আগ্রহী করে তুলতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে আসছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.