গাইবান্ধায় ব্রীজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বাড়ী নির্মাণের চেষ্টা।। দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘ করে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য গাইবান্ধা পৌরসভার গাইবান্ধা-নাকাই সড়কের একটি ব্রিজ (কালভার্ট) এর মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এর ফলে পৌরসভার ৫টি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উক্ত এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবেশ সংরক্ষন আইন উপেক্ষা করে গাইবান্ধা শহরের অন্যতম ব্যস্ততম কলেজ রোডের প্রফেসর কলোনী সংলগ্ন এলাকায় ব্রিজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।
ব্রিজের মুখ ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে সদর হাসপাতালসহ পলাশপাড়া, গাড়িয়াল পট্টি, ফকিরপাড়া, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
জানা গেছে, পৌরসভা আইন ২০০৯ ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উল্লেখিত স্থানে  ব্রিজের মুখ ভরাট করছেন তৌহিদ জামান মিতা। আইন অনুযায়ী কেউ জলাধার ও পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করতে পারেন না। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্রিজের মুখ বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও ওই ব্রিজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করার চেষ্টার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পৌরসভা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
এ ঘটনায় গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, জনস্বার্থ ও পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে কলেজ রোডের ওই ব্রিজের মুখ ভরাট করতে রাতের আঁধারে মাটি ফেলা হয়েছে। এর আগেও এই অপচেষ্টা করা হয়েছিল।
সেসময় প্রশাসনকে অবগত করে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাটি অপসারণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে পৌরসভা অবিলম্বে পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ১১৭ ধারা এর বিধান এবং জলাধার আইন ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
এদিকে তৌহিদ জামান মিতা বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি কেন ব্রীজের মুখ বন্ধ করতে যাব। আমি ব্রীজের মুখ এবং পানি যাওয়ার রাস্তা রেখে অবকাঠামো নির্মাণ করব। শ্রমিক পাচ্ছি না ব্রীজের মুখের মাটি অপসারণের। ৩/৪ দিনের মধ্যে মাটি সরিয়ে ফেলা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.