গাংনীতে জমি নিয়ে বিরোধ মেটাতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে ও আসল পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্টের জন্য ৭ বছর পর আল কবির নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদদির হোসেন শামীমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে গাংনী পৌরসভার পূর্ব মালশাদহ কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ, গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হানসহ পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর তারিখে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এইচএম কবির হোসেন লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার পূর্বমালশাদহ গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি আব্দুল লতিফ একই উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের কাছ থেকে আল কবিরকে দত্তক নেন। দত্তক নেওয়ার পর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করার সময় আল কবিরের প্রত্যয়নপত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদে পিতা মাতার নামের স্থানে আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রীর নাম লেখেন। আল কবির অনার্সে পড়াকালীন সময়ে তার পালিত পিতা আব্দুল লতিফ ১৪ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আল কবির।
আল কবির মারা যাওয়ার এক বছর পর পালিত পিতা আব্দুল লতিফও অসুস্থ হয়ে মারা যান। আল কবির মারা যাওয়ার পর তার তার নামে লিখে দেওয়া ১৪ বিঘা জমি তার প্রকৃত বাবা মিজানুর রহমানের বৈমাত্রেয় ভাই মনিরুজ্জামান ও তার লোকজন দাবি করেন। এ নিয়ে বিরোধ সৃস্টি হয়। পরে মিজানুর রহমান খোকন বাদী হয়ে তার বৈমাত্রেয় ভাই শিমুলতলা গ্রামের মনিরুজ্জামানসহ ৪০ জনের নামে আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন।
গাংনী থানার উপপরিদর্শক এসআই জহির রায়হান বিটিসি নিউজকে বলেন, বিবদমান সম্পত্তি নিষ্পত্তির স্বার্থে ও প্রকৃত বাবা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে তার ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মেহেরপুর প্রতিনিধি মো. আকবর আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.