গরুর মাংস পাওয়ার অভিযোগে ভারতে ১১ বাড়ি উচ্ছেদ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মধ্যপ্রদেশের মান্ডলায় অবৈধভাবে গরুর মাংসের ব্যবসা করায় ১১ জনের বাড়ি উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। বাড়িগুলো সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল।
শনিবার (১৫ জুন) মধ্যপ্রদেশের এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবামাধ্যম এনডিটিভি।
মন্ডলার পুলিশ সুপার রজত সাকলেচা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘নাইনপুরের ভাইনসোয়াহি এলাকায় বিপুলসংখ্যক গরু জবাই করার জন্য জড়ো করা হয়েছে- এমন তথ্য পাওয়ার পর সেখানে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
সাকলেচার দাবি, খবর পাওয়ার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একটি দল ছুটে যায়। তারা অভিযুক্তদের বাড়ির উঠোনে ১৫০টি গরু বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।
এছাড়াও অভিযুক্তদের বাড়ির ফ্রিজ থেকে গরুর মাংস উদ্ধারের দাবি করেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘সেখানে গরুর চর্বি, চামড়া এবং হাড়ও পেয়েছেন তারা। একটি কক্ষে এসব রাখা হয়েছিল।’
মান্ডলার এই পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‌‘জব্দ করা মাংস গরুর বলে স্থানীয় সরকারি পশুচিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন। আমরা সেকেন্ডারি ডিএনএ বিশ্লেষণের জন্য নমুনা হায়দরাবাদেও পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত ১১ জনের বাড়ি সরকারি জমিতে হওয়ায় সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, মান্ডলা থেকে গরু ও গরুর মাংস উদ্ধারের পর শুক্রবার রাতে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সাকলেচা বলেন, ‘উদ্ধারকৃত ১৫০টি গরু একটি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ভাইনসোয়াহি এলাকাটি কিছুদিন ধরে গরু চোরাচালানের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে গরু জবাই করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।’
রাজ্য পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনের অতীত অপরাধের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদের অপরাধের রেকর্ডও করা হচ্ছে।’ অভিযুক্তদের সবাই মুসলিম বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.