গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে ক্ষমতা নিয়েছিল সেনাবাহিনী!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী গণতন্ত্র শক্তিশালী করার জন্য ক্ষমতা নিয়েছিল। গণতন্ত্রের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চাপে পড়া জান্তাপ্রধান এমন মন্তব্য করেছেন। দেশটির সশস্ত্রবাহিনী দিবসের প্যারেডে যোগ দিয়ে তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন দেশ বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছে।
মিয়ানমারে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে জান্তাবাহিনী। প্যারেডে অংশ নেয় শত শত সেনা। স্যালুট গ্রহণ করেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চাপে কোণঠাসা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে এখনো ‘শক্তিশালী’, তাই যেন প্রদর্শন করা হয় গেল ২৭ মার্চ দেশটির বার্ষিক সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্যারেডে।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ছাড়াও সাধারণ জনগণ অনেকদিন ধরেই লড়াই করে আসছে। তবে প্যারেডের সময় জান্তাপ্রধান বললেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতেই নাকি সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় এসেছে।
মিন অং হ্লাইং বলেন, সামরিক বাহিনী ‘সাময়িক সময়ের জন্য’ দেশের ক্ষমতা নিয়েছে। মিয়ানমারের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে তারা শাসনভার নিয়েছে বলেও জানান ২০২১ সালে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’কে সরিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মিন অং হ্লাইং।
তার দাবি, জাতিগত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তথাকথিত পিডিএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। কিছু শক্তিশালী দেশ বিভিন্ন উপায়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সাহায্য করছে। তাদের নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী কারসাজি করতে চাইছে।
জান্তাবাহিনীর একসময়ের অজেয় খ্যাতিকে রীতিমত কলুষিত করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিরোধ। জান্তাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর তাদের নৃশংস দমনপীড়ন দেশব্যাপী সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করে। হাজার হাজার তরুণ-তরুণী দুর্গম সীমান্ত এলাকায় জঙ্গল ও পাহাড়ে পালিয়ে যায় এবং জাতিগত গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে জোট বাধে।

গত পাঁচ মাস ধরে সেনাবাহিনীকে দেশের উত্তর-পূর্বে উত্তর শান রাজ্যে পরাস্ত করা হয়েছে, পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যের কিছু অংশ দখল করা হয়েছে এবং অন্যান্য অনেক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের মুখে রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.