খেলায় কোনো বন্ধুত্ব নয় : নেইমার

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র ও আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। দু’জনের বন্ধুত্ব ২০১৩ সাল থেকে। যখন তিনি সান্তোষ ছেড়ে বার্সায় যোগ দেন। বয়সে নেইমারের চেয়ে চার বছরের বড় হলেও তাদের বন্ধুত্বের সময়টা খুবই উপভোগ করেছেন তারা।
তবে সেই বন্ধুই যখন প্রতিপক্ষ হয় তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ কি থাকে? রবিবার (১১ জুলাই) কোপা ফুটবলের মহাযুদ্ধের আগে মেসির ভূয়সী প্রশংসা করেও নেইমার জানালেন, ওদিন কোনও বন্ধুত্ব নয়, শত্রু হিসেবেই মেসির বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তিনি।
আগামীকাল রবিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। লড়াই যেমন দুই দেশের, তেমন একসময়ের দুই সতীর্থের, দুই বন্ধুরও।
দেশের হয়ে একটা কাপ জেতার সাধ লিওনেল মেসির বহু দিনের। আবার বয়সে ছোট নেইমার জুনিয়রও এখন কোপার স্বাদ পাননি। দু’জনেই চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া। দু’জনেই এই টুর্নামেন্টে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। মেসি অবশ্য পরিসংখ্যানে নেইমারের থেকে এগিয়ে, তাঁর তাগিদটা বোঝা খুবই সহজ। এখনও অবধি ৪ গোল করে শীর্ষে আছেন মেসি, নেইমারের গোল ২টি। গোলে সহায়তাতেও টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৫টি মেসির দখলে, নেইমারের ৩টি।
ফাইনালের আগে ব্রাজিলিয়ান তারকা সাংবাদিকদের জানান, ‘মেসি আমার ভাল বন্ধু। কিন্তু এখন আমরা ফাইনালে, আমরা এখন প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি ভীষণভাবে এই খেতাব জিততে চাই, জিতলে এটাই আমার প্রথম কোপা হবে।’
নেইমারের মতে, যদি কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকে তবে তা ভুলা কঠিন। কিন্তু উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, যখন আপনি ভিডিও গেম খেলেন তখন বন্ধুকে যেভাবে হোক হারাতে চান। শনিবারও (ব্রাজিলীয় সময়ে) সেরকমই ব্যাপার।
বন্ধুত্বকে ডাগআউটে রেখে দেশের জন্য লড়তে প্রস্তুত দুই তারকা। সেমি ফাইনালে ম্যাচ সেরা পারফর্ম করে শেষ হার্ডলে দাঁড়িয়ে তারা। তাদের সঙ্গ দিতে সহযোদ্ধারা তৈরি। ম্যাচের আগে পরের উষ্ণ আলিঙ্গনে মেসি নেইমার নিজেদের বাঁধলেও নব্বই মিনিটে বিনা যুদ্ধে নাহি দেবে সূচাগ্র মেদিনী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.