খেতাবপ্রাপ্তসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে সংবর্ধনা

PRESS (PID) RELEASE: বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তীতে মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের গ্রীন প্লাজায় সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে মহানগরীতে বসবাসরত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান খেতাবপ্রাপ্তসহ সকল বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয।
রাজশাাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, আমরা প্রতিবছরই এ বিজয়ের মাস এলে সারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলি এবং শুনি।
আলোচনার মাধ্যমে, টকশো করে এবং পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান নানাভাবে স্মরণ করি। এ দেশ যতই পুরনো হবে, যত দিন যাবে বিজয় দিবসের কথা মানুষ আলোচনা করে গর্ববোধ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত অনেক আগেই স্বাধীনতা লাভ করেন। তারপরও তারা এখনও বিজয় দিবস পালন করে কিন্ত তাদের কারো এতো ত্যাগ স্বীকার ছিলনা। আমাদের মত এত গর্ব করার মত স্বাধীনতা নেই। দেশের স্বাধীনতা আনতে সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে নিজের ইজ্জত দিতে হয়েছে, ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে একটি মাত্র দেশ সেটি হলো আমাদের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, যুদ্ধ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, যুদ্ধ আমরা চাইনি, আমরা চেয়েছিলাম আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে। তখন জনগণের যে রায় তা পাকিস্তান মেনে নেবে আমরা তাই চেয়েছিলাম। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা কখনোই আমাদের হাতে ক্ষমতা দিতে চায়নি। যে চারটি মূলনীতি ও স্তম্ভের উপরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, তার কিছুটা পরিবর্তন হলেও আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তারা আবারো পূর্বের চেতনায় ফিরে যাবো। বর্তমানে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে এটি বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের যে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তার অনেক আগেই সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
আলোচনা সভা শেষে মহানগরীর খেতাবপ্রাপ্তসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদর্সগণকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মেয়র আব্দুল হাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইমদাদুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
NEWS FROM Regional Information Office (PID). Press Information Department. Ministry of Information. #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.