খুলনা ব্যুরো: খুলনা জেলার মহানগরসহ ৯৯১টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনা মহানগরে রয়েছে ১০১টি মন্ডপ। তবে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালনে স্বরাষ্ট্র এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে সকল পূজামন্ডপে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এর সাথে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর পূর্ব হতে পূজার দিনগুলোতে টহল দেবে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা থাকবে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডিসি অফিস, ইউএনও এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘন্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।
খুলনার পুলিশ সুপার টি, এম, মোশাররফ হোসেন জানান, প্রশাসন ও স্থানীয়দের সাথে চমৎকারভাবে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আনন্দের সাথে যাতে পূজা উদযাপিত হতে পারে তার জন্য পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর পূর্ব হতে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এতে সকলের মনে আরও সাহস সঞ্চার হবে। একই সাথে তারা হয়রানিমূলক মামলা হতে পরিত্রাণের আহবান জানান।
খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আনন্দময় হবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর সাথে সামাজিক সৌর্হাদ্য যুক্ত হলে একটি প্রাণবন্ত উৎসব উদযাপিত হবে। ভালোবাসা আর সাম্যের বন্ধন নিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই উৎসবে অংশ নেব।
এবার খুলনা জেলার ৯৯১টি পূজামন্ডপের মধ্যে মহানগরে ১০১টি, বটিয়াঘাটায় ১১৩টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি তেরখাদায় ১০৭টি, পাইকগাছায় ১৫৫টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দাকোপে ৮৪টি, দিঘলিয়ায় ৬৩টি, ফুলতলায় ৩৪টি, রূপসায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.