খুলনা জেনারেল হাসপাতালে জীবাণুনাশক কক্ষ ও ডক্টরস সেফটি চেম্বার স্থাপন


খুলনা ব্যুরো:  খুলনা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে জীবাণুনাশক কক্ষ। বসানো হয়েছে ডক্টরস সেফটি চেম্বার এবং সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র। এ তিনটি কক্ষই তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এইচইডি) অর্থায়নে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ জানিয়েছেন আজ/কালকের মধ্যে আরও দু’টি জীবাণুনাশক কক্ষ আসছে। একজন আমেরিকান প্রবাসী এ দু’টি কক্ষ দিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে)  দুপুরে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জীবাণুনাশক কক্ষ দিয়ে রোগী ও সাধারণ লোকজন হাসপাতালে প্রবেশ করছেন। এর মধ্যদিয়ে করোনাভাইরাসহ অন্য যে কোন ভাইরাসমুক্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করছেন। যেটি করোনাভাইরাস সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাহাবুল আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, জেনারেল হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের না। তারপরেও সিভিল সার্জনের দেয়া পত্রের আলোকে এইচইডির নিজস্ব অর্থায়নে এটি স্থাপন করা হয়েছে।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালে জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন ছাড়াও দু’টি ডক্টরস সেফটি চেম্বার বসানো হয়েছে। যার একটি ডক্টরস সেফটি চেম্বার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও অপরটি হচ্ছে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহের জন্য। একটি জীবাণুনাশক কক্ষ এবং দু’টি ডক্টরসহ সেফটি চেম্বার স্থাপনের জন্য এইচইডির দু’লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এছাড়া সিভিল সার্জনের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিষ্ঠান খুলনা মহানগরীর মিরেরডাঙ্গাস্থ আইডি হাসপাতালে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এর বাইরেও খুলনার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্যোগকালীন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সূত্রটি বলছে, এইচইডি স্থাপিত জীবাণুনাশক কক্ষ ও ডক্টরস সেফটি চেম্বারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, খুলনার বিভাগীয় পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা: রাশেদা সুলতানা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনামহামারী থেকে খুলনাবাসীকে রক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও এগিয়ে আসা উচিত। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে করোনা থেকে রক্ষার চেষ্টা করতে হবে বলেও তিনি জানান।

জীবাণুনাশক কক্ষটি স্থাপন করা হয়েছে জরুরি বিভাগের পাশে। জরুরি বিভাগের ভবনের বাইরেই থাকবে ডক্টরস সেফটি চেম্বার। যেটি কাঁচ দিয়ে ঘেরা। যার মধ্যে অবস্থান করবেন চিকিৎসক। বাইরে ও ভিতরে থাকবে মাইক্রোফোন। রোগী ওই মাইক্রোফোন দিয়ে তার সমস্যার কথা বলবেন এবং ডাক্তার ভেতরে বসে তা শুনে এবং প্রয়োজন হলে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সেফটির সাথেই চিকিৎসা দেয়া হবে।

যদিও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ডক্টরস সেফটি চেম্বার ও ফ্লু কর্ণারের নমুনা সংগ্রহ চেম্বারটি ভবনের বারান্দায় উঠিয়ে রাখা হয়েছে কিন্তু সেটি প্রকৃতপক্ষে বাইরেই বসানো হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.