খুলনা চুরি যাওয়া ১৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার-৪

খুলনা ব্যুরো: খুলনা মহানগরীর ২নং টুটপাড়া আমতলা এলাকার বাসা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ১৪ লাখ টাকা উদ্ধার ও গৃহপরিচারিকাসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে মঙ্গলবার ভোর রাতের মধ্যে চুরির এঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তানজিলা তাবাচ্ছুম উর্মি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেছেন (যার নং-৩১, ২২-০৯-২০২১ইং)
গ্রেফতারকৃতরা হল- সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সূবর্ণগাছি এলাকার মনিরুল ইসলামের স্ত্রী গৃহপরিচারিকা মোছাঃ শাহানারা খাতুন (২৭), চুরিতে সহযোগিতাকারী একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ গোলাম রব্বানী (৩৭), শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া বেগম (৫১) এবং তার মেয়ে খাদিজা খাতুন (২৫)। গ্রেফতার আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোল্যা আব্দুল হাই জানিয়েছেন, নগরীর ২নং টুটপাড়া আমতলা কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের মোহায়মেনুর রহমানের স্ত্রী তানজিলা তাবাচ্ছুম উর্মির বাসায় তার মামা হাসান খলিলুর রহমান হেলাল (৫৪) গত ৫ সেপ্টেম্বর তার ব্যবসায়িক ১৪ লাখ টাকা রেখে জরুরি কাজে ঢাকায় যান। পরবর্তীতে ওই ১৪ লাখ টাকা তানজিলা তাবাচ্ছুম উর্মির বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়।
চুরি হয়ে যাওয়া ১৪ লাখ টাকা কোথাও খুঁজে না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তানজিলা তাবাচ্ছুম উর্মি এলাকার দারোয়ান মোঃ আলম খানের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে, গত সোমবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে গৃহপরিচারিকা মোছাঃ শাহানারা খাতুনকে হাতে একটি শপিং ব্যাগ নিয়ে তাদের বাসা থেকে বের হতে দেখেছেন। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাদী পক্ষের লোকজন মোছাঃ শাহানারা খাতুন (২৭) এবং তার সহযোগী মোছাঃ রোকেয়া বেগম (৫১) কে নিরালা আবাসিক এলাকায় দেখতে পেয়ে আটক করে খুলনা থানায় সোর্পদ করলে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেয়া তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা থানাধীন নিরালা আবাসিক এলাকার ১নং রোডস্থ বাড়ী নং-১০১ পোলার আইসক্রিম ডিলারের অফিসের সামনে পাঁকা রাস্তার থেকে ২নং আসামী মোঃ গোলাম রব্বানী (৩৭) কে চুরি হয়ে যাওয়া ১৪ লাখ টাকাসহ আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্য মতে, চুরির ঘটনার অপর সহযোগী খাদিজা খাতুন (২৫) কে নিরালা কাঁচা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.