খুলনা ব্যুরো: খুলনা মহানগরের তিন প্রতিষ্ঠানের আটটি গুদাম থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার লিটার ভোজ্য তেল জব্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ওই তিন প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নগরীর স্যার ইকবাল রোডের বড়বাজার এলাকার সিটি ব্যাংক গলিতে অবস্থিত সোনালী এন্টারপ্রাইজ, সাহা ট্রেডার্স ও রণজিৎ অ্যান্ড সন্স নামের তিন প্রতিষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসন ও র্যাব যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই আটটি গুদাম থেকে এক হাজার ১২৯ ব্যারেল সয়াবিন ও সুপার পামঅয়েল জব্দ করা হয়েছে, যার পরিমাণ দুই লাখ ৩০ হাজার লিটার।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র দেবাশীষ বসাক জানিয়েছেন, ভোজ্য তেলের অবৈধ মজুদের খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) বড়বাজারের তিনটি প্রতিষ্ঠানের আটটি গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সোনালী এন্টারপ্রাইজের তিনটি গুদামে ১৪৪ ব্যারেল সয়াবিন ও ১৭১ ব্যারেল সুপার পামঅয়েল, সাহা ট্রেডার্সে ১৬৭ ব্যারেল সয়াবিন এবং ৩৩৯ ব্যারেল সুপার পামঅয়েল পাওয়া যায়। এ অভিযোগে সোনালী এন্টারপ্রাইজের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৩০ হাজার টাকা এবং সাহা ট্রেডার্সের মালিক দিলীপ কুমার সাহাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং একই অপরাধে রণজিৎ অ্যান্ড সন্স নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩০ মেট্রিকটন এবং ৩০ দিনের বেশি মজুদ রাখা যাবে না। কিন্তু, প্রতিষ্ঠান তিনটি এ আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত তেল মজুদ করেছিল। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, মজুদ করা তেলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
র্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা দাবি করেন, চলমান ব্যবসার প্রয়োজনে তেল মজুদ করা হয়েছে। দাম বৃদ্ধির জন্য করা হয়নি। বর্তমানে লোকসান দিয়ে পামঅয়েল বিক্রি করতে হচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.