খুলনা ব্যুরো: খুলনার নগরীর হোটেল আজমল ইন্টারন্যাশনাল থেকে ইনসান মোল্লা নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতেই ওই নারীকে নড়াইল জেলার কালিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ বছর বয়সী ওই নারীর বাড়ি ইনসান মোল্লার বাড়ির পাশের গ্রামে।
মঙ্গলবার ওই নারীকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সদর থানা পুলিশ। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে ওই নারীকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন ইনসানের বড় ভাই তৌরুত মোল্লা। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল বেরুনী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ইনসানের সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। গত ২১ জুন তারা এক সঙ্গে ওই হোটেলে ওঠে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা বা কেন হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
নিহত ইনসান মোল্লার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি গ্রামে। তিনি ওই এলাকার ইঞ্জিল মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৭ মাস আগে বিয়ে করেন ইনসান। তবে তিনি দেড় বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। গত ২১ জুন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তিনি। ২২ জুন ওই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সোমবার দুপুরে ওই হোটেলের পঞ্চম তলায় ৫০২ নম্বর কক্ষ থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় ইনসানের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি উলঙ্গ অবস্থায় কক্ষের বক্স খাটের নিচে লুকানো ছিল। তার মুখ ও পুরুষাঙ্গ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাত ছিল বাঁধা। খুলনায় একটি লাশ পাওয়া গেছে শুনে ইনসানের ভাই এসে লাশটি সনাক্ত করেন।
এদিকে সোমবার সকালে নগরীর আড়ংঘাটা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. মাহাবুবর রহমান (৪৫)। তার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার রাজিবনগর গ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের ভাই ওসমান গনি এসে লাশটি সনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা ছিল।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন জানান, এ ঘটনায় আড়ংঘাটার সরদারডাঙ্গা এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম নামের দুই ভাইকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.