খুলনায় সরকারি জমিতে গড়ে তোলা ৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

খুলনা ব্যুরো: নগরীর ফুলবাড়িগট এলাকায় কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিবিড় আবাসিক এলাকার জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ৫০টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে কেডিএ। সরকারি জমি দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিলো। এসব স্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছিলেন এলাকার মানুষ। অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

কেডিএর কর্মকর্তারা জানান, খুলনায় নতুন তিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে প্রবেশের উভয়পাশ্বে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় এতোদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা দুর্ভোগের শিকার হতেন। গত মাসে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে তাদের নোটিশ করা হয়। কিন্তু নোটিশে সাড়া না দিলে একাধিকবার মৌখিকভাবে অনুরোধও করা হয়।

কিন্তু এরপরও অবৈধ দখলদাররা তাদের স্থাপনা না সরানোয় কেডিএর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএস এম মাহমুদ হাসান অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন। মূলত চেয়ারম্যানের নির্দেশেই কেডিএর কর্মকর্তা বুলডোজার নিয়ে অভিযান শুরু করে। বিদ্যালয় ও নিবিড় আবাসিক এলাকার স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়। জনতা সিনেমা হলের সামনে সরকারি জমি দখল করে তৈরি করা ৩০টি সেমিপাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ওই স্থানে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন কেডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবিরুল আলম, সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর তাজুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অথরাইজড অফিসার শামীম জেহাদ, সিনিয়র বৈষয়িক কর্মকর্তা জি এম মাসুদুর রহমান, সহকারী প্রোগ্রামার হারুন-অর-রশীদ, সহকারী বৈষয়িক কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুল করিম, আবদুল্লাহ আল নাসির, এফ এম রফিকুল ইসলাস, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোঃ মিরাজ হোসেন, শেখ বোরহান উদ্দিন, এস কে আশরাফ আলী, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল হান্নান, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ মিজানুর রহমান, হাফিজুর রহমান।

কেডিএ কর্মকর্তারা জানান, খুলনা শহরকে পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করতে কেডিএর চেয়ারম্যানের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.