খুলনায় সওজ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডারে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ

খুলনা ব্যুরো: সড়ক ও জনপদ বিভাগের খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঠিকাদার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভুয়া টেন্ডারে অর্থ আত্মসাত ও কমিশন বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা।
তারা ঘটনা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিকট আবেদন করেছেন। অর্থাৎ খুলনা সওজে ডিপিএম (ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড) পদ্ধতিতে টেন্ডার কাজে আবারও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো।
এদিকে, এর আগে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত ৯৪টি প্রকল্পের ডিপিএম টেন্ডার কাজের তালিকা, পিএমপি (সড়ক-মেজর) বরাদ্দ কাজে তালিকা ও খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়কে কাজের টেন্ডার ডকুমেন্টস্ সংগ্রহ করেছে দুদক।
প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যাচাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সম্প্রতি দুদকের নিজস্ব ফেসবুক পেজেও একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়।
দুদক কর্মকর্তারা বলেন, খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কয়েকজন ঠিকাদারের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যায় দেখিয়ে প্রাক্কলন তৈরি ও ভুয়া টেন্ডারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পে কিছু ভুয়া কাজে ব্যায় দেখানো হয়েছে ও প্রাক্কলনগুলো পরবর্তীতে রিভাইসড করে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে নরসিংদী ও টাঙ্গাইলে কর্মরত থাকাকালে মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটে টেন্ডার আহবান ও যেনতেন কাজ করে ঠিকাদারের নিকট থেকে কমিশন আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
অপরদিকে, খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাসের অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে তদন্ত এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
সওজ, খুলনা সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাসের কর্মকালে সড়কে ডিপিএম টেন্ডার কাজ, পিএমপি বরাদ্দ কাজের অনিয়ম তদন্ত করছেন দুদকে সহকারি পরিচালক বিজন কুমার রায়।
তিনি ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯. ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাস্তবায়নকৃত কাজের তালিকা, নিয়োগকৃত ঠিকাদারের নাম, দাখিলকৃত দর ও টিইসি সদস্যদের নাম পদবী সংগ্রহ করেছেন বলেও জানা গেছে।
খুলনা সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত রিজিট পেইভমেন্ট ঢালাই কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ঠিকাদারের সিকিউরিটি মানির ৭০ লাখ টাকা আটকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া টেন্ডারের উল্লেখিত মাণ অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার জন্যও কয়েকদফা তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
২০২১ সালে পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত সাতশ’ মিটার সড়কে রিজিট পেইভমেন্ট আরসিসি ঢালাই কাজ করে রানা বিল্ডার্স (প্রা.) লিমিটেড। সড়কটি ৫০ বছর টেকসই হওয়ার কথা থাকলেও নিম্ন মাণের নির্মাণ কাজের দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢালাই উঠে গেলে তাৎক্ষনিক তদন্ত টিম করা হয়।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সওজ খুলনার তত্ত্বাবধাযক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারও স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ায় এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.