খুলনায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ তিন জন গ্রেপ্তার, অতঃপর জামিন

খুলনা ব্যুরো: শ্লীলতাহানির অভিযোগে তেরখাদা উপজেলার ২ নং বারাসাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কেএম আলমগীর হোসেনসহ তিন জন গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়েছেন। খুলনা থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলার বিষয়ে জানতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৮ জুলাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় শাখায় শুনানীর দিন ধার্য ছিল। ওই সময় বাদী ও আরও কয়েকজন উক্ত স্থানে উপস্থিত হন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাদী আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বারাসাত ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড সদস্য রিনা বেগম জেলখানা ঘাটের টোল ঘরের সামনে পৌছালে আসামি আলমগীর হোসেনসহ তার সহযোগীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। নিষেধ করার সাথে সাথে তারা বাদীর ওপর অতর্কিত হামলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।এছাড়া তারা ওই নারী মেম্বারের কাছে থাকা ১৫ হাজার ২০০ টাকা লুটে নেয়। এ ব্যাপারে তিনি খুলনা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং-২৬।
মামালার বিষয়ে তিনি আজ রবিবার সকালে খুলনা থানায় খোঁজ নিতে আসলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর আদালতে জামিন প্রার্খনা করলে তাকে জামিন দেয়া হয়। অপর দুই আসামি হল মিল্টন মুন্সি (৪৫) ও সোহাগ মুন্সি (৩৪)।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আজ সকালে মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
জামিন পেয়ে চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, “আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য তিনি এ জঘন্য কাজ করেছেন। আমি আল্লাহর ওপর এ বিচারের দায়িত্ব দিলাম। তিনি এর ফয়সালা করবেন।”
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.