খুলনায় ভারী বর্ষণে ঈদ মার্কেটের ক্রেতারা বেকায়দায়

 

খুলনা ব্যুরো: সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে খুলনায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ঈদ মার্কেট এলাকাগুলোতে। মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আবার কেনাকাটায় আসা ক্রেতারা পড়ছেন বেকায়দায়। কেউ কেউ বলছেন, বৃষ্টির কারণে মার্কেটে ভিড় কম হবে। এটা জেনেই কষ্ট করে চলে এসেছি। ভিড় না থাকলে কেনাকাটায় সুবিধা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষের হাঁসফাঁস কমলেও বৃষ্টি হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির তীব্রতা থাকবে আরও দুইদিন এমনটাই জানিয়েছে ওই কার্যালয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিঘ্নিতা হয় ঈদের কেনাকাটায়। ঝুম বৃষ্টিতে নগরীর রয়্যালের মোড়, শান্তিধাম মোড়, শামসুর রহমান রোড, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, বাইতি পাড়াসহ অধিকাংশ সড়কে পানি জমে যাওয়ায় ইচ্ছা করলেও সহজে যাতায়াত করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

রমজান মাস এখন শেষের দিকে। চলছে ধুম কেনাকাটা। বৃষ্টির কারণে অনেকটাই বেকার সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। বৃষ্টিতে কেনাবেচা একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফুটপাতের বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি আর কাঁদায় সয়লাব হয়ে গেছে মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক ও মার্কেট। যে কারণে ক্রেতাদের ভোগান্তিও বেড়ে গেছে অনেক। অনেকেই ঈদ বাজারে ঢুকে আটকা পড়েছেন। যেতে পারছেন না এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে। যানবাহন সঙ্কটে অনেকেই আবার আসতে পারছেন না বাজারে। পছন্দ করতে পারছেন না নিজের পছন্দ মাফিক কাপড়-চোপড়। বৃষ্টি আর কাদার কারণে বিক্রেতারাও পড়েছেন বেকায়দায়। ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতারাও অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেকটা সময়। তবে অর্ধবেলা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখেছেন ফুটপাতের দোকানিরা।

খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। থেমে থেমে আরও বৃষ্টি হবে। যা দুই-তিন দিন থাকতে পারে।
এদিকে বৃষ্টিপাতে খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে পানি জমেছে। পুরো মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে এবারও এখানে ঈদের প্রধান জামাত হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.