খুলনায় বিএনপি-আ’লীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ :

খুলনা ব্যুরো : ধানের শীষের কর্মীদের গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে বিএনপি-নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে আওয়ামীলীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন কেসিসি নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এমন অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে মঞ্জু ঘোষণা করেন, যতই হুমকি দেয়া হোক না কেন বিএনপি কেসিসি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না। প্রয়োজনে মাথায় কাফনের কাপড় পরেই ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করা হবে।
এদিকে, বিএনপি প্রার্থীর এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামীলীগের প্রেস ব্রিফিং থেকে বলা হয়েছে, সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি এমন অভিযোগ আনছে। মানুষের সহানুভুতির জন্য বিএনপি মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে বলেও আ’লীগের অভিযোগ। পাল্টা প্রেস ব্রিফিং করে আ’লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনী সমন্বয়কারী ও দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল এমনটি বলেন।

দুপুর ১২টায় বিএনপি প্রেস ব্রিফিং করে কেডিঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ দুপুর ২টায় প্রেস ব্রিফিং করে যশোর রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনার মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। বুধবার রাতেই ২১জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের খুলনা আগমনের আগে পুলিশের এ গ্রেফতার আতংক বন্ধ না হলে প্রয়োজনে সিইসির বৈঠকও বিএনপি বয়কট করতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ চায় বিএনপি যাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু বিএনপি এ নির্বাচনকে যেহেতু আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছে সেহেতু যত বাধাই আসুক না কেন তারা নির্বাচন থেকে বিন্দুমাত্র সরে দাঁড়াবে না।

বিএনপির প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান, এড. শফিকুল আলম মনা, ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগের প্রেস ব্রিফিং থেকে কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশেই শহরে নির্বাচনী প্রচারনা চলছে। কোথাও কোন বাধা নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে আ’লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের বার বার অভিযোগ আনা হচ্ছে। অথচ প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই গাড়িতে ধানের শীষ টানিয়ে মিটিং করে বেড়িয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু। এতে তিনিই বরং আচরণবিধি লংঘন করেছেন। বিএনপির কাজই হচ্ছে নালিশ করা। এজন্য তিনি বিএনপিকে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বলেও অভিহিত করেন। আওয়ামীলীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, তিনিতো এই শহরেরই এমপি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু কোনদিনতো তিনি এখানে আসেননি। উন্নয়ন করেননি। এখন তার প্রার্থী মেয়র হয়ে কি উন্নয়ন করবেন। মূলত: নৌকার গনজোয়ার দেখে বিএনপিই বরং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে। এজন্য আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে এসএম কামাল বলেন, এতেই প্রমানিত হয় যে, এই শহরের কারা মাদকের পৃষ্ঠপোষক।
কেএমপির খানজাহান আলী থানা পুলিশ বুধবার রাতে একজন যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের পর এক ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এসএম কামাল বলেন, তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই বলেই পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তবে আতংক বন্ধ না হলে প্রয়োজনে সিইসির বৈঠকও বিএনপি বয়কট করতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ চায় বিএনপি যাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু বিএনপি এ নির্বাচনকে যেহেতু আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছে সেহেতু যত বাধাই আসুক না কেন তারা নির্বাচন থেকে বিন্দুমাত্র সরে দাঁড়াবে না।

বিএনপির প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান, এড. শফিকুল আলম মনা, ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগের প্রেস ব্রিফিং থেকে কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশেই শহরে নির্বাচনী প্রচারনা চলছে। কোথাও কোন বাধা নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে আ’লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের বার বার অভিযোগ আনা হচ্ছে। অথচ প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই গাড়িতে ধানের শীষ টানিয়ে মিটিং করে বেড়িয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু। এতে তিনিই বরং আচরণবিধি লংঘন করেছেন। বিএনপির কাজই হচ্ছে নালিশ করা। এজন্য তিনি বিএনপিকে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বলেও অভিহিত করেন। আওয়ামীলীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, তিনিতো এই শহরেরই এমপি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু কোনদিনতো তিনি এখানে আসেননি। উন্নয়ন করেননি। এখন তার প্রার্থী মেয়র হয়ে কি উন্নয়ন করবেন। মূলত: নৌকার গনজোয়ার দেখে বিএনপিই বরং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে। এজন্য আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে এসএম কামাল বলেন, এতেই প্রমানিত হয় যে, এই শহরের কারা মাদকের পৃষ্ঠপোষক।
কেএমপির খানজাহান আলী থানা পুলিশ বুধবার রাতে একজন যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের পর এক ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এসএম কামাল বলেন, তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই বলেই পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তবেসড়ক অবরোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, যেহেতু একজন নিরীহ ব্যক্তিকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে সেহেতু জনতা সড়ক অবরোধ করতেই পারে। তাছাড়া যাকে আটক করা হয়েছিল তিনি এক সময় যুবদল করতেন উল্লেখ করে এসএম কামাল বলেন, এখন যুবলীগে যোগ দিয়েছেন কি না তা তার জানা নেই।

আ’লীগের প্রেস ব্রিফিংকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও চেম্বার সভাপতি কাজি আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. মোল্লা আবু কাওসার, ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান প্রমুখ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.