খুলনায় প্রথম করোনায় প্লাজমা থেরাপি

খুলনা ব্যুরো: কোভিড-১৯ চিকিৎসায় খুলনায় প্রথম বারের মতো প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত এক মুমূর্ষু রোগীকে প্লাজমা দেয়া হয়।
করোনায় আক্রান্ত  খুলনায় প্রথম সুস্থ হওয়া রোগী বাগেরহাট নিবাসী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল আজ বৃহস্পতিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ব্লাড ব্যাংকে তার শরীরের প্লাজমা দান করেন।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. জিল্লুর রহমান তরুণ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ডা. মঞ্জুরুল গত ১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে সুস্থ হন। তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের চিকিৎসকদের আহ্বানে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসেন। খুমেক হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে তার প্লাজমা দান করেন।

আজ বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির শরীরে ডা. মঞ্জুরুলের প্লাজমা খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ইথিকাল কমিটির অনুমোদন নিয়ে প্রয়োগ করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- খুমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আহাদ, উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার।

সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন- কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রোজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এস এম তুষার আলম, কো-ইনভেস্টিগেটর অধাপক ডা. শেখ আমির হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. খসরুল আলম মল্লিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহনাজ পারভীন, কনসালটেন্ট মেডিসিন ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও মেডিক্যাল অফিসার ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগ ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ।

এছাড়া এ টিমের অন্যতম একজন কো-ইনভেস্টিগেটর, বিশেষজ্ঞ হিসাবে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিশন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারাহ আনজুম সোনিয়া।
কোভিড-১৯-এর সাথে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে চলছে হাজারো গবেষণা; যার মধ্যে অন্যতম কার্যকরী একটি ট্রিটমেন্ট হচ্ছে প্লাজমা কনভালসেন্ট থেরাপী।কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ৯৭-৯৮% সুস্থ হয়ে যান। কারণ, তাদের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধক এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায় যা রক্তের প্লাজমায় থাকে। কোভিড সুস্থ রোগীর দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে গুরুতর আক্রান্ত অন্য রোগীর দেহে সঞ্চালনের মাধ্যমে তাদের বহুলাংশকেই সারিয়ে তোলা সম্ভব।

এরিমধ্যে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে সাফল্যের দাবি করেছে ভারত। দেশটিতে ৪৯ বছর বয়সী এক রোগী, যাকে ভেন্টিলেটরে রাখ হয়েছিল, প্লাজমা থেরাপিতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফেরেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.