খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূিচ গ্রহণ

খুলনা ব্যুরো: খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২১ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূিচ গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সকালে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন  এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে।
টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা জেলা মডেল মসজিদ, নিউমার্কেটস্থ বায়তুন নূর জামে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বায়তুল্লাহ জামে মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদসমূহে ঈদের জামায়তের সময়সূচি সংশ্লিষ্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটি নির্ধারণ করবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নিজেদের সময় অনুযায়ী মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার সকল মসজিদে ঈদ-উল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
 ঈদের নামাজ আদায়ের সময়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাতারে দাঁড়াতে হবে। মুসুল্লিদের বাসা থেকে ওযু করে এবং মাস্ক পরে জামাতে আসতে হবে। মসজিদের অযুর স্থানে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। নামাজ শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে এবং মুসল্লিরা বাসা থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদের টুপি এবং জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি, অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হবে।
 কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে যত্রতত্র পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। ক্রেতা- বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে পশুর হাটে প্রবেশ করতে হবে। অনলাইনে পশু ক্রয়ে কোন হাসিল আদায় করা যাবে না।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদুল আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না।
ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙানো যাবে না।
 ঈদ উপলক্ষ্যে যানবাহানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও যাত্রী হয়রানি করা যাবে না। বাস টার্মিনালের শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচলে সহায়তা করতে হবে। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটের অর্ধেকের বেশি যাত্রী উঠানো যাবে না। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
ঈদগাহ বা খোলা স্থানে ঈদের জামাত আদায়ে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.