খুলনায় দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্রতা বিষয়ক ওয়ার্কশপ

 

খুলনা ব্যুরো: দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও হাওড় এলাকায় পরিচালিত গবেষনার উপরে ‘দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্রতা’ বিষয়ক ওয়ার্কশপে বক্তারা বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচী বা এসডিজি অর্জন করতে হলে যে কোন মূল্যে দারিদ্রতা দূর করতে হবে। বাংলাদেশের দারিদ্রতার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন। সেই সাথে মানুষ্যসৃষ্ট কিছু বিপর্যয়ও দারিদ্রতা ডেকে আনতে পারে। এজন্য যেসব কারনে দারিদ্রতা হয় সেগুলো থেকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিন যে গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সেটিকে সফলভাবে পরিসমাপ্তিই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। তবে যে কোন গবেষণার তথ্য আপডেট থাকাটা জরুরি বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। গবেষনা টীমের নেতা ও কুয়েটের আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুল হক খান, ভারত থেকে আগত কায়স্ত এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অনিল কুমার দাস।

এসময় দু’টি প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন টীমের নেতা কুয়েটের অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ার ও খু’বি’র প্রফেসর ড. মোঃ জাকির হোসাইন। অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কৃষি বিভাগের পংকজ কান্তি মজুমদার, জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার, জেজেএস’র নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, যে কোন গবেষণার প্রস্তাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকারি নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে পদক্ষেপ নেয়া হলেই গবেষণার স্বার্থকতা আসবে। অনেক সময় শিল্পায়ন করতে গিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনা হয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এ থেকে মুক্ত করতে বেশি করে গাছ লাগানো উচিত। সেই সাথে নিষিদ্ধ পলিথিনসহ যে কোন পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.