খুলনায় গণধর্ষণের ঘটনায় জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ওসিসহ ২ জন ক্লোজড

খুলনা ব্যুরো:  খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় তিন সন্তানের মা কে (৩০) গণধর্ষণের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উসমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হক কে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আজ বুধবার সকালে তাদের খুলনা জিআরপি থানা থেকে পাকশী জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বিটিসি নিউজকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উসমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একজন নারীর তোলা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন।

পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়া এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। বাকি তিন পুলিশ সদস্যের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।

উল্লেখ্য:  গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহধূকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ওসি উসমান গনি পাঠান ও এসআই গৌতম কুমার পালসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে।

পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় প্রেরণ করা হয়। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে জিআরপি থানায় গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের নিদের্শে সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন, কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ।

এছাড়া সদস্যরা হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ.ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন। #

 

 

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.