খুলনায় করোনা পরীক্ষায় প্রথম রোগী মনিরামপুরের স্বাস্থ্যকর্মী : আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে আইইডিসিআর

খুলনা ব্যুরো: খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত করোনাভাইরাস( কোভিড-১৯) পরীক্ষায় প্রথম ১জন রোগী ধরা পড়েছে বলে অসমর্থিত একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আগামীকাল সোমবার (১৩ এপ্রিল) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং থেকে এটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট)।

আজ রোববার (১২ এপ্রিল) ৬ষ্ঠ দিনে খুমেকে ৪৩টি স্যাম্পল পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে যে রোগীটির পজেটিভ ধরা পড়েছে বলে সূত্রগুলো বলছে তার নাম রবিউল ইসলাম(৩০) এবং তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। বর্তমানে তিনি তার বাড়িতেই অর্থাৎ হোম আইসোলেশনে (চিকিৎসাধীন) আছেন। তবে আইইডিসিআরের ঘোষণার পরই তাকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হতে পারে।

খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তার কাছেও অসমির্থত সূত্র থেকে এমন খবর এসেছে। তবে আইইডিসিআর’র ঘোষণা ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, যেহেতু ওই রোগী একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং তিনি মানসিকভাবে সুস্থ আছেন সে কারণে তাকে এখনও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হয়নি। তার বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই বাড়িতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্য কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না এবং ওই বাড়ি থেকেও কাউকে বাইরে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। আজ আইইডিসিআর চূড়ান্ত ঘোষণা দিলে তাকে যশোরের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হতে পারে।

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আহসান উল্লাহ শরিফী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী রবিউল ইসলাম যেসব এলাকায় এবং যাদেরকে টিকা দিয়েছেন সেসব এলাকা এবং সেইসব লোকদের চিহ্নিত করে তাদের লকডাউনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মী রবিউল ইসলাম এখন মোটামুটি সুস্থ বলেও তিনি জানান।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহীন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, মনিরামপুরের স্বাস্থ্যকর্মী রবিউল ইসলাম জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে শনিবার(১১এপ্রিল) তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর মেশিনে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আজ রোববার তার কোভিড-১৯ ধরা পড়ে বলে শোনা যাচ্ছে। আজ সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তার চিকিৎসার পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহম্মেদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে আজ রোববার পর্যন্ত নয়জন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের সূত্রটি বলছে, ওই নয়জন রোগী থেকে দু’জন পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে সেখানে সাতজন রোগী রয়েছেন।

আজ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে আসা যে ৪৩টি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার দুপুরে আইইডিসিআরের প্রেস ব্রিফিংয়ে।

আর ৫ম দিনে গতকাল শনিবার যে ২২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছিল তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়নি। আজ পর্যন্ত ছয় দিনে খুলনা মেডিকেলের পিসিআর মেশিনে সর্বমোট পরীক্ষা হয়েছে ১৭০ জনের।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.