খুলনার ২১১ আউটসোর্সিং কর্মচারীর চাকরী বহাল-বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবী

খুলনা ব্যুরো: ‘আমরা চাকরী ফেরত চাই, বকেয়া বেতন পরিশোধ চাই’ এমন দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ সিভিল সার্জনের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২১১জন আউটসোর্সিং কর্মচারী।
গতকাল রোববার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানোহয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আউটসোর্সিং কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২১১ জন কর্মচারী মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাকরীতে যোগদান করলেও প্রায় ১৩ মাস পর গত বছর (২০২০) জুলাই মাসে তারা এক বছরের বেতন পান। কিন্তু এর পর থেকেই আবারো বেতন বন্ধ থাকে।
এরই মধ্যে ঠিকাদার পরিবর্তনের গুঞ্জন শোনা যায়। সম্প্রতি বিদায় নেয়া খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাদ আহমেদ তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, তোমাদের চাকরী নেই। এজন্য তিনি একটি অফিসিয়াল চিঠিও ইস্যু করেন। যদিও তিনি নিজেই তাদের সেবা নিয়ে থাকেন।
অন্যান্য সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা তাদের সেবা নেন। সর্বশেষ তৎকালীন সিভিল সার্জন তাদেরকে নতুন ঠিকাদার কন্টাক্ট ক্লিনিংয়ের মালিক হেমায়েত হোসেন ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
কিন্তু ঠিকাদার ফারুক তাদের ফোন রিসিভ করেন না। পক্ষান্তরে বিভিন্ন লোক মারফত তাদের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয় যদি তোমাদের চাকরীতে বহাল থাকতে হয় তাহলে মোটা অংকের অর্থ দিতে হবে। এজন্য কারও কারও কাছে টাকার অংকও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তারা গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ধার দেনা করেই তাদের চলতে হয়।
বিগত ছয় মাস ধরে বেতন না থাকায় ডিউটি করতে হচ্ছে খেয়ে না খেয়ে। এর পরও এতো বিপুল পরিমান টাকার চাপ দেয়ায় তারা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন। তাদের কাছে টাকা না পেয়ে তিনি তাদেরকে বাদ দিয়ে বাইরের লোক নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পদায়ন দিচ্ছেন।
এক পর্যায়ে তৎকালীন সিভিল সার্জন গোপালগঞ্জে বদলী হলে তারা মনে করেছিলেন নবাগত সিভিল সার্জন তাদের দিকে সদয় হবেন, তামাদের পরিবারের সদস্যদের দিকে তাকাবেন। কিন্তু দেখা গেলো তিনি যোগদান করেই বর্তমান ঠিকাদারের সাথে তিন মাসের চুক্তি করে নতুন নিয়োগকৃত আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পদায়ন দিয়েছেন। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একজন ঠিকাদারের সাথে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির কোন বিধান আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.