খুলনা ব্যুরো:খুলনায় আলোচিত লেডি বাইকার ইরিন জাহান এশা ও তার চক্রের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা পরিকল্পিতভাবে প্রভাবশালীদের স্ত্রী বা কন্যাদের টার্গেট করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের মাদকাসক্ত করে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে ভিকটিমদের পরিবারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ লেডি বাইকার এশাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
এ ঘটনায় তার ভাই মো. খালিদ হাসান (৩৮) কে-ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী এক তরুণীর বাবা বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফ্রান্স প্রবাসী ওই তরুণীর বাবা দেশে না থাকায় তার মেয়েকে এশা বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত করে তোলে। পরিবারের আপত্তি ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেয়ে এশার সংস্পর্শে যাওয়া অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে মাদক না পেলে মেয়েটি নিজ বাসায় ভাঙচুর করত এবং অস্বাভাবিক আচরণ করত।
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার তাকে খুলনার একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ বেতার ভবনের সামনে মোটরসাইকেলে এসে এশা ও তার ভাই অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে জোরপূর্বক মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্স শিববাড়ি মোড় এলাকায় পৌঁছালে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে আসামিদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ধস্তাধস্তিতে ভিকটিম সামান্য আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, “এশা বিভিন্ন সময়ে ওই মেয়েকে মাদকাসক্ত করে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। সে ও তার সহযোগীরা একটি সুসংগঠিত চক্রের অংশ, যারা প্রভাবশালী পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে মাদক ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে ফাঁদে ফেলে এবং পরে মুক্তিপণের মতো চরম অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।”
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে চক্রটির অন্যান্য সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.